ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

চুপ কেন মেলানিয়া!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৬, ১৭ জুলাই ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের পরে সমালোচনার ঢেউ উঠলেও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া কেন চুপ? এই প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। সম্প্রতি ট্রাম্প মার্কিন কংগ্রেসের চার অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলাকে বলেছেন, যেখান থেকে এসেছেন, সেখানেই ফিরে যান। 

যদিও তাঁদের তিনজনেরই জন্ম এবং বেড়ে ওঠা আমেরিকায়। শুধু একজন শৈশবে আমেরিকায় এসেছিলেন সোমালিয়া থেকে। এদিকে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও আমেরিকায় জন্মাননি। মেলানিয়ার জন্ম স্লোভেনিয়ায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত বছর যখন শরণার্থী শিশুদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে দেওয়ার নীতি কার্যকর করতে যান তখন সরব হতে দেখা গিয়েছিল মেলানিয়াকে।তিনি বলেছিলেন, ‘শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে দেওয়ার নীতি মানতে পারছি না। এটা হৃদয়বিদারক।’ কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত কিছুই শোনা যায়নি মেলানিয়ার মুখ থেকে। 

একসময়ে যুগোস্লোভিয়ার অংশ ছিল স্লোভেনিয়া। ১৯৯১ সালে স্লোভেনিয়া স্বাধীন হয় তখন ২১ বছরের যুবক ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

মডেলিংয়ের জন্য স্লোভেনিয়া ছেড়ে মেলানিয়া প্রথমে যান ইতালি এবং এরপরে ফ্রান্স। ১৯৯৬ সালে পৌঁছেন নিউইয়র্কে। সেখানেই ১৯৯৮ সালে ধনকুবের ব্যবসায়ী ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ হয় মেলানিয়ার। তাঁকে বিয়ে করেন ২০০৫ সালে এবং পরের বছর সেই সূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। 

নাগরিকত্ব প্রশ্নে মেলানিয়া বরাবরই বলে এসেছেন আইনি পথেই আমেরিকার নাগরিক হয়েছেন তিনি। মেলানিয়ার বাবা-মাও ‘চেন মাইগ্রেশন’-এর (পারিবারিক সূত্রে) সুবাদে মার্কিন নাগরিক। যদিও এখন ট্রাম্প নিজেই পরিবার-সূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার নীতির বড় সমালোচক। 

নিউইয়র্কের আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কর্তেজ, মিনেসোটার ইলান ওমরের জন্ম সোমালিয়ায়, মিশিগানের রশিদা তালিব এবং ম্যাসাচুসেটসের আইয়ানা প্রেসলিকে নাম না-করে দেশ ছাড়তে বলেছেন ট্রাম্প। এঁরা আমেরিকার নাগরিক। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, নিজের পারিবারিক ঐতিহ্যের কথাও কি ভুলে গেলেন ট্রাম্প?

এএইচ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি