হরমুজে ট্যাংকার আটক: পর্যবেক্ষণ করছে ব্রিটিশ
প্রকাশিত : ১৬:৪১, ২০ জুলাই ২০১৯
হরমুজ প্রনালীতে ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান। এ ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত আখ্যা দিয়ে বিষয়টি তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে বিট্রিশ সরকার জানিয়েছে।
ঐ ট্যাংকারের মালিক ইস্টিনা ইম্পিরো জানিয়েছেন, হরমুজ অঞ্চলে ট্যাংকারটি আটকের পরে তারা ট্যাংকারের সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেনি। এ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার ইরানের ইসলামী বিপ্লব গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ট্যাংকারটি আটক করে। এ নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে পালাপাল্টি অভিযোগ চলছে।
ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন এবং ট্যাংকারটি তাড়াতাড়ি মুক্ত করতে চেষ্টা করবে।
আইআরজিসি’র এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের হরমুজ বন্দর ও সামুদ্রিক যান চলাচল বিষয় সংস্থার অনুরোধে আন্তর্জাতিক আইন মেনে না চলায় ‘স্টেনা ইমরো’নামের ওই ট্যাংকারটিকে আটক করা হয়েছে। জাহাজটিতে ২৩ জন ক্রু রয়েছে।
জানা যায়, জাহাজটি উপকূলে আনা হয়েছে। জাহাজটিতে তল্লাশি চালানো হবে বলে আইআরজিসির পক্ষ থেকে বলা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি জানায় ট্রাম্প। যদিও তা প্রত্যাখান করে তেহরান। এর একদিন পরই এ ঘটনা ঘটলো।
এদিকে, ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার আটকে খবরে দু’বার জরুরি বেঠকে মিলিত হয়েছে যুক্তরাজ্য। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরানের এমন কর্মকাণ্ড অপ্রত্যাশিত। এর মাধ্যমে ইরান সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জেরমুখে ফেলেছে।
তেহরানকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, এর আগেও একটি জাহাজ আটক করেছে ইরান। যদি এ সমস্যার সমাধান করা না হয়, তাহলে ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে।
তিনি বলেন, আমরা কোনো সামরিক উপায় খুঁজছিনা, এ পরিস্থিতি উত্তোরণে কূটনীতিক পথে এগোচ্ছি।
গত ৪ জুলাই যুক্তরাজ্য নিয়ন্ত্রিত জিব্রাল্টার প্রণালী থেকে ইরানী তেলবাহী সুপার ট্যাংকার গ্রেস ওয়ান আটক করেছিল যুক্তরাজ্য। ইতোমধ্যে জাহাজটির ক্রদের মুক্তি দেয়া হলেও, জাহাজটি নিয়ে এখনো তদন্ত করছে জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: বিবিসি
এমএস/আরকে
আরও পড়ুন