ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

কাশ্মীর ইস্যুতে মোদির পাশে পুতিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫২, ১০ আগস্ট ২০১৯

কাশ্মীরকে ভারতের কেন্দ্রীয়শাসনের অন্তর্ভুক্ত করায় ক্ষমতাসীন বিজেপির শাসক মোদি যখন বিশ্বব্যাপী সমালোচিত ও নিন্দিত হচ্ছেন ঠিক এমন সময়ে তার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন পুরনো বন্ধু রাশিয়া। মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংবিধান মেনেই জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের স্ট্যাটাস বদলে দিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তান দু’দেশকে শান্তি রক্ষার বার্তাও দিয়েছে তারা। খবর আনন্দবাজার’র।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানসম্মতভাবেই ভারত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার পরিবর্তন করেছে ও দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করেছে।’ ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করি যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ওই এলাকার পরিস্থিতির অবনতি হবে না। রাশিয়া সব সময়েই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সুষ্ঠু সম্পর্কের পক্ষে মত দিয়ে আসছে।’

এর আগে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনার মুখে ইসলামাবাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। এক ঘোষণায় চীনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে পাশে থাকবে বেইজিং। 

তবে আরেক পরাশক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোনও দেশকে সমর্থন না জানিয়ে বলেছে, পুরো পরিস্থিতি নজরে রাখা হচ্ছে। কিন্তু রাশিয়ায়ই প্রথম দেশ হিসেবে সরাসরি ভারতের সিদ্ধান্তের সমর্থন জানিয়েছে।

রাশির ওই বিবৃতিতে লাহোর ও শিমলা চুক্তির কথাও উল্লেখ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, ‘মস্কো আশা করে শিমলা ও লাহোর ঘোষণাপত্র মেনে দুই দেশ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে তাদের যাবতীয় দ্বন্দ্বের নিরসন ঘটাবে।’

এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের ‘বৈধ অধিকার ও স্বার্থের’ প্রতি সমর্থন দিয়ে যাবে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ই জানিয়েছেন, কাশ্মীরে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। চীন বিশ্বাস করে যে, কাশ্মীর ইস্যুতে একতরফা সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। এটা কখনোই করা উচিত হবে না।

বেইজিং এক বিবৃতিতে ভারত এবং পাকিস্তানকে ঐতিহাসিক ক্ষোভ কাটিয়ে সঠিকভাবে এই সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। এক তরফা সিদ্ধান্ত এড়িয়ে একটি নতুন শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে চীন। জাতিসংঘের দলিলপত্র, নিরাপত্তা পরিষদের বিশ্লেষণ এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে সুরাহা হওয়া উচিত বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত সোমবার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত। এরপর থেকে দেশদুটির মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। 
আই/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি