ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

চাকরির নামে ৬০০ নারীর নগ্ন ছবি-ভিডিও সংগ্রহ অতঃপর... 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১৭, ২৪ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ২২:৫৫, ২৪ আগস্ট ২০১৯

ফাইভ স্টার হোটেলে লোভনীয় চাকরির অফার! তবে জবটি পেতে হলে পাঠাতে হবে নিজের নগ্ন ছবি ও ভিডিও। কারণ প্রার্থীদের ফিগার দেখেই নিয়োগ দিতে চান চাকরিদাতারা। এতে সাড়াও মেলে বেশ। অবশেষে ৬০০ নারী বুঝতে পারেন এটা নিছক প্রতারণা! 

সম্প্রতি ভারতের চেন্নাইয়ে ঘটা এমনই অভিনব ঘটনায় আটক করা হয় ক্লেমেন্ট রাজ চেঝিয়ান ওরফে প্রদীপ নামে এক অভিযুক্তকে। যিনি নামকরা একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

চেন্নাইয়ে নিজের অফিসে বসে এই কার্যক্রম চালাতো প্রদীপ। অধিকাংশ দিনেই তার থাকতো নাইট শিফট। আর ওই সুযোগেই সে এই সব কাজ করতো বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পরে স্থানীয় এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবারাবাদ পুলিশ প্রদীপকে তার চেন্নাইয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে শনিবার হায়দরাবাদে নিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ব্যবসা চালাচ্ছিল প্রদীপ। ফাইভ স্টার হোটেলে লোভনীয় চাকরির টোপ দিয়ে ইতিমধ্যেই সে ভারতের ১৬টি রাজ্যের ৬০০ নারী আবেদনকারীর কাছ থেকে তাদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও নিয়েছে।

অভিযুক্ত ক্লেমেন্ট অরফে প্রদীপ পুলিশের কাছে তার অপরাধ স্বীকার করে জানিয়েছে, প্রথমে সে নিজেকে পরিচয় দিতো একটি নামকরা ফাইভ স্টার হোটেলের কর্মী নিয়োগকারী ম্যানেজার হিসেবে। এ পরিচয় দিয়েই নারী আবেদনকারীদের কাছ থেকে ফোন নম্বর সংগ্রহ করতো। তারপর তাদের ডেকে পাঠানো হতো দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি ইন্টারভিউয়ে। সেই সময় তাকে সাহায্য করতো আর এক নারী। তার নাম অর্চনা জগদীশ।

চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, দ্বিতীয় ইন্টারভিউয়ের পরই সম্পূর্ণ অচেনা একটি ফোন নম্বর থেকে নারী আবেদনকারীদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠাতো প্রদীপ। সেই মেসেজেই সে তাদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাঠাতে বলতো। কারণ হিসেবে বলা হতো- ফাইভ স্টার হোটেলের কাজটা একেবারে সামনে থেকে করতে হবে এবং লোকজনের সঙ্গে মিশতে হবে বলে হোটেল কর্তৃপক্ষ যাদের নিয়োগ করবে, তাদের ফিগার কেমন, তা-ও জেনে-বুঝে নিতে চায়।

এরপর ওই নারীদের ভিডিও কল করতো সে। কলের মধ্যেই তাদের পোশাক খুলে দেখাতে বলতো। সেই সময়ই সে আলাদা একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেই ভিডিও রেকর্ড করে একটি গোপন গ্যালারিতে রাখতো। যে গ্যালারি খোলার জন্য একটি গোপন পাসওয়ার্ড ছিল প্রদিপের।

পুলিশের মিয়াপুর ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এস রবি কুমার বলেছেন, ‘যে গ্যাজেটগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলোকে পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে।’ সূত্র- আনন্দবাজার।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি