ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

কাশ্মীরে রড ও লাঠি দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪৮, ৩০ আগস্ট ২০১৯

সংবিধান থেকে বিশেষ মর্যাদার ব্যবস্থা বাতিল করার পর ভারত শাসিত কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের মারধর এবং নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে অনেকদিন আগে থেকেই। সেখানাকার একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসি সংবাদদাতা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাদেরকে রড ও লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে এবং বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়েছে।

এমনকি অনেক গ্রামের বাসিন্দারাই সংবাদদাতাকে তাদের ক্ষতচিহ্ন দেখিয়েছেন কিন্তু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সেসব অভিযোগ সম্পর্কে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। 

দক্ষিণ কাশ্মীরের অন্তত ৬টি গ্রামের সবগুলোর বাসিন্দাদের কাছ থেকেই নির্যাতনের একই ধরণের বক্তব্য জানতে পারেন বিবিসির সংবাদদাতা।

যদিও ভারতের সেনাবাহিনী এসব অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন ও প্রমাণসাপেক্ষ নয়' বলে দাবি করেছে।

গত ৫ অগাস্ট ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে কাশ্মীর।

এমনিতেই বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সামরিক সদস্যদের অবস্থান, তার ওপর বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানে আরও অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ভারত সরকার। 

একইসঙ্গে আটক করা হয়েছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, অ্যক্টিভিস্টসহ প্রায় তিন হাজার মানুষকে। স্থানীয় কারাগারে সংকুলান না হওয়ায় যাদের অধিকাংশকেই রাজ্যের বাইরের কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 

কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব পদক্ষেপ শুধুই রাজ্যটির জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে।

গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে ভারতের সেনাবাহিনী কাশ্মীরে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনে লড়াই করে যাচ্ছে। ভারতের অভিযোগ, ঐ অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাদের সহায়তা করে পাকিস্তান। অবশ্য এ অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করেছে কাশ্মীরের একাংশের নিয়ন্ত্রক পাকিস্তান।

অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ করার সিদ্ধান্তকে ভারতের বিভিন্ন অংশের মানুষ স্বাগত জানায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী'র এই 'সাহসী' সিদ্ধান্তকে ভারতের গণমাধ্যমও সাধুবাদ জানিয়েছে। সূত্র- বিবিসি।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি