ব্রেক্সিট ইস্যু
আদালতের মুখোমুখি হতে পারেন বরিস জনসন
প্রকাশিত : ১১:৩৭, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ব্রেক্সিট ইস্যুতে বেশ ঢাক-ঢোল পিটিয়েই প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছিলেন বরিস জনসন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের দেড় মাস পরও এখনো পার্লামেন্টের সদস্যের স্বীকৃতি আদায় করতে পারেননি তিনি। ফলে, এ ইস্যুতে বেশ চাপের মুখে পড়েছেন ব্রিটেনের এ প্রধানমন্ত্রী।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে আরো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন বরিস। ইস্যুটি যদি পিছিয়ে দেয়া না হয়, তাহলে জনসের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন পার্লামেন্টের সদস্যরা।
নিজের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চলতি বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। প্রয়োজনে চু্ক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন বরিস। ফলে, সময় যত গড়াচ্ছে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে জটিল থেকে জটিল হচ্ছে বৃটিনের রাজনীতি।
এদিকে, চুক্তি ছাড়া বেক্সিট এড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সময় বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে দায়িত্ব দিয়ে একটি বিল রানীর অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার কথা রয়েছে ব্রিটেনের। তবে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, বেক্সিট পিছিয়ে দিতে বলার চেয়ে বরং তিনি খাদে পড়ে মারা যেতে চান।
আইনি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, নতুন আইনটি মানতে অস্বীকার করলে প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে যেতে হতে পারে।
এদিকে ব্রিটেনের নিয়োগ ও অবসর বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাম্বার রাড মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছে।
তিনি বলেছেন, তিনি আর বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, একটি চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা সরকারের প্রধান লক্ষ্য। মঙ্গলবার যে ২২জন টোরি এমপিকে বরখাস্ত করা হয়েছে, সেটি সভ্যতা এবং গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলে তিনি বর্ণনা করেছেন।
ব্রেক্সিটের পক্ষে আর বিপক্ষের সমর্থকরা শনিবার ওয়েস্টমিনিস্টারে সমাবেশ করেছে, যাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট এড়াতে পাশ হওয়া আইনটির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে দরকার হলে আদালতে লড়াই করার জন্য আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল গঠন করবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিরোধী আর বিদ্রোহী সদস্যরা।
একাধিক পার্টির এমপিদের সমর্থনে বিলে বলা হয়েছে, আগামী অক্টোবরের মধ্যে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি চুক্তির ব্যাপারে পার্লামেন্ট সম্মত না হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে বেক্সিট কার্যকর করার জন্য ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সময় চাইতে হবে।
যদিও সরকার বলেছে যে, তারা আইন মেনে চলবে। তবে মি. জনসন বলেছেন, অযৌক্তিক দেরি করার জন্য ব্রাসেলসকে অনুরোধ করার জন্য একটি ধারণায় এই বিল তাকে বাধ্য করছে।
ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে, ব্রিটিশ জনগণ পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, তারা ব্রেক্সিট সম্পন্ন হয়েছে দেখতে চায়।
লেবার নেতা জেরেমি করবিন বিবিসি বলেছেন, আইনটি নিয়ে কোন আইনি ব্যবস্থায় যাচ্ছে না তার দল। তবে তারা এ ধরণের ব্যবস্থার ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে এবং সেটি নিয়ে আলোচনা ও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি
আই/
আরও পড়ুন