ফ্রান্সে অতিরিক্ত গরমে নিহত ১৪৩৫
প্রকাশিত : ১৫:৫২, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৬:০২, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
চলতি বছরের জুন ও জুলাইয়ে ফ্রান্সে অতিরিক্ত গরমের কারণে ১৪৩৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাগনেস বাজিন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। সেইসঙ্গে বিভিন্ন ধরণের প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে সতর্ক করায় মৃতের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিন ফ্রেঞ্চ রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের অর্ধেকের বেশিই বৃদ্ধ, যাদের বয়স ৭৫-এর অধিক। মৃতের সংখ্যাটা বেশি মনে হলেও আমাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিত। কারণ ২০০৩ সালের তুলনায় মৃতের সংখ্যা আমরা ১০ গুণ কমাতে পেরেছি।
প্রচণ্ড গরমের কারণে এ বছর ফ্রান্সের বিভিন্ন জায়গায় রেড এলার্ট জারি করা হয়েছিল। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দেশটির বড় বড় পার্ক ও সুইমিং পুল সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল যাতে মানুষ গরম থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পায়। জরুরি ফোন সুবিধা রাখার পাশাপাশি স্থানীয় পৌরভবনে ঠাণ্ডা ঘরের ব্যবস্থাও করেছিল প্যারিস কর্তৃপক্ষ।
এদিকে চলতি বছর ফ্রান্সের সর্বোচ্চ তামপাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দেশটির রাজধানী প্যারিসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মাত্রাতিরিক্ত গরম ইউরোপের এ দেশটির জন্য একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এর আগে ২০০৩ সালে অতিরিক্ত গরমের কারণে গ্রীষ্ম মৌসুমে রেকর্ড ১৫০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল ফ্রান্সে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রথম হিটওয়েভ চলাকালীন ৫৬৭ জন মারা গেছে। আর ২১ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয় হিটওয়েভে মৃত্যু হয় ৮৬৮ জনের। এছাড়া আরও ১০ জন মারা যায় নিজেদের কাজের ক্ষেত্রে অবস্থানকালীন। সূত্র- বিবিসি।
এনএস/
আরও পড়ুন