‘জেলে চেয়ার নেই, বালিশও নেই’! আদালতে বললেন চিদাম্বরম
প্রকাশিত : ১২:৩১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১২:৩৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ভারতের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিহার জেলে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি দিল্লি আদালতে অভিযোগ করলেন, তিহার জেলে তার জন্য কোনও চেয়ার বা বালিশ নেই।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর আইনজীবী জানান, এর ফলে তার ‘পিঠে ব্যাথা’ বেড়ে গেছে। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত আদালত তার বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছে, তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার দাবি জানান পি চিদাম্বরমের আইনজীবী।
তার আইনজীবী, কপিল সিব্বল এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, মুক্তির মামলা করেন, তারমধ্যে পি চিদাম্বরম বলেন, ‘ঘরের বাইরে কয়েকটি চেয়ার ছিল, সারাদিন আমি সেখানে বসে থাকতাম, সেটাও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কারণ আমি সেটা ব্যবহার করতাম, এখন সেটা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওয়ার্ডেনেও কোনও চেয়ার নেই’।
আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘তিনদিন আগে তার একটি চেয়ার ছিল। এখন কোনও চেয়ার বা বালিশ নেই।
সরকারের তরফে বলা হয়, প্রথমক্ষেত্রে সেলে কোনও চেয়ার না থাকা, ‘ছোট ঘটনা’। সরকারের পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা বলেন, ‘এটা ছোট ঘটনা। এটা তুলে ধরার কোনও প্রয়োজন নেই। শুরু থেকেই তার ঘরে কোনও চেয়ার ছিল না।
বিচারক পরবর্তী শুনানির দিন ৩ অক্টোবর ধার্য করার বিরোধিতা করেন পি চিদাম্বরমের আইনজীবীরা। কপিল সিব্বল প্রশ্ন তোলেন, ‘হেফাজত পদ্ধতিগতভাবে বাড়ানো যায় না। এই বৃদ্ধির যুক্তি কী’।
অভিষেব মনু সিঙ্ঘভি বিভিন্ন মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন, যেখানে আদালত বলেছে, পদ্ধতিগতভাবে নয়, যৌক্তিক কারণে হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘পি চিদাম্বরম ইতিমধ্যেই ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং ১৪ দিনের জেল হেফাজত কাটিয়েছেন। হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর যুক্তি কী’।
২০০৭-এ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন, আইএনএক্স মিডিয়াকে বিশাল অঙ্কের বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে। এই সুবিধা দেওযার জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে।
পি চিদাম্বরমের নাম করেন, আইনএক্স মিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা পিটার মুখোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে জেলে রয়েছেন তারা।
গত সোমবার ৭৪তন জন্মদিন ছিল পি চিদাম্বরমের। সেদিন তিনি ‘ভাল ছিলেন’ বলে জানায় পিটিআই। জেল থেকেই নিজের টুইটার হ্যান্ডেল অ্যাক্টিভ রেখেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, টুইটারেই জম্মু ও কাশ্মীরের বর্ষীয়ান রাজনীতিক ফারুক আবদুল্লাকে কঠিন আইনে আটক করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি
আরও পড়ুন