ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ট্রাম্পের অভিশংসন চায় ৪৫ শতাংশ মার্কিনী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৪৮, ১ অক্টোবর ২০১৯

বিতর্কিত ফোনালাপ কেলেঙ্কারিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জোরালো হয়ে উঠেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি। যে ঘটনায় ইতোমধ্যেই তার অভিশংসনে উদ্যোগী হয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। এবার রয়টার্স/ইপসোস-এর জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের অভিশংসন চায় যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ শতাংশ মানুষ।

মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রকাশিত ওই জরিপে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে যে পরিমাণ মানুষ ট্রাম্পের অভিশংসন চাইতেন, এ সপ্তাহে তা ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিতর্কিত ফোনালাপের ফলেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 

সম্প্রতি ওই ফোনালাপ বিতর্ক ফুঁসে ওঠার পর গত সপ্তাহের পাঁচ দিনব্যাপী (২৬-৩০ সেপ্টেম্বর) চালানো জনমত জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকার ৪৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মনে করেন ট্রাম্পকে অভিশংসন করা উচিত। যে হার আগের সপ্তাহে ছিল ৩৭ শতাংশ।

সর্বশেষ জরিপে ৪১ শতাংশ মার্কিনি বলেছেন, ট্রাম্পকে অভিশংসন করা উচিত হবে না। আর ১৫ শতাংশ বলেছেন, এ বিষয়ে তাদের জানা নেই। 

অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থকদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ বলেছেন, ট্রাম্পের অভিশংসন হওয়া উচিত। এ হার গত সপ্তাহের চেয়ে আট শতাংশ বেশি। 

আর রিপাবলিকানদের মধ্যে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট চেয়েছেন মাত্র ১৩ শতাংশ মার্কিনি। এ হার আগের সপ্তাহের চেয়ে তিন শতাংশ বেশি। 

দেশটির জরিপকারী সংস্থা রয়টার্স/ইপসোস-এর চালানো এ অনলাইন এ জরিপে মতামত দিয়েছেন দুই হাজার ২৩৪ জন মার্কিনি। এরমধ্যে ৯৪৪ জন ডেমোক্র্যাট সমর্থক এবং ৮৫৫ জন রিপাবলিকান সমর্থক।

এদিকে প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির প্রধান অ্যাডাম স্কিফ-কে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন টাম্প। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিজের ফোনালাপ ফাঁসের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান। 

টুইটারে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য অ্যাডাম স্কিফ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার ফোনালাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি নিয়ে ভুয়া ও ভয়ঙ্কর বক্তব্য দিয়েছেন। মার্কিন কংগ্রেসে এবং আমেরিকান জনগণের সামনে তিনি উচ্চকণ্ঠে এটি পাঠ করেছেন। ওই ফোনকলে আমি যা বলেছিলাম তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্কই নেই। রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য গ্রেফতার?’ 

ট্রাম্পের এ টুইটের ব্যপারে অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেননি ডেমোক্র্যাট নেতা এবং প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির প্রধান অ্যাডাম স্কিফ। তবে এর আগে এ সপ্তাহেই ট্রাম্পের ওই ফোন কল ফাঁস করা গোয়েন্দা কর্মকর্তার বক্তব্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

ফোনালাপ ফাঁসকারী সিআইএ কর্মকর্তাকেও দৃশ্যত হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে এমন হুমকি আরও বিপাকে ফেলেছে তাকে। কেননা, ওই ঘটনার পর এখনও অবিলম্বে ট্রাম্পের অভিশংসন চাইছেন বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইনপ্রণেতারা। 

ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপ থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। গত ২৫ জুলাইয়ের ওই ফোনকলের অনুলিপি গোপন করতেও চেয়েছিল হোয়াইট হাউস। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। 

আর ওই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর সামনে আসে ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি