ব্রেক্সিট ইস্যু: অবশেষে ব্রিটেন ও ইইউ সম্মত
প্রকাশিত : ১১:৫০, ১৮ অক্টোবর ২০১৯
ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ গত কয়েক দিন প্রায় বিরতিহীন আলোচনা চালিয়ে পরিবর্তিত ব্রেক্সিট চুক্তির একটি খসড়া সম্পর্কে ঐকমত্যে পৌঁছেছে৷
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লোদ ইয়ুংকার এই খবর জানিয়েছেন৷ খবর পার্সটুডে ও ডয়েচে ভেলে’র।
এক টুইটার বার্তায় বরিস বলেন, ‘আমরা এক অসাধারণ চুক্তিতে পৌঁছেছি।’ এ চুক্তির মাধ্যমে পার্লামেন্টে তার দলের নিয়ন্ত্রণ ফেরানো যাবে বলেও তিনি আশা করেন।
আগামীকাল শনিবারের মধ্যে চুক্তিটি নিয়ে ভোট হবে ব্রিটিশ এবং ইইউ পার্লামেন্টে। দুই পার্লামেন্টে চুক্তিটি পাস হলে তবেই এর শর্ত মেনে ব্রেক্সিট কার্যকরের দিকে এগিয়ে যাবে দুই পক্ষ। অন্যথায়, গত মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হওয়া ‘বেন অ্যাক্ট’ অনুসারে, ইইউ’র কাছে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা পেছানোর অনুরোধ করে চিঠি লিখতে বাধ্য হবেন জনসন।
কিন্তু এ যাত্রায় ইইউ আগের তুলনায় সতর্ক হয়ে উঠেছে৷ সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেও ইইউ’র সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন৷ তা সত্ত্বেও তিন-তিনবার তিনি সংসদে তা অনুমোদন করতে ব্যর্থ হন৷ বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রিটেনের সংসদে সর্বশেষ বোঝাপড়ার লক্ষ্যে যথেষ্ট সমর্থন আদায় করতে পারবেন কি না, তাও এখনও স্পষ্ট নয়৷
কারণ জনসনের চুক্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বৃটেনের বিরোধী দলগুলো। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই জনসনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির। চুক্তি পাস করতে হলে নর্দান আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিবা ডিইউপি’র সমর্থন লাগবে তাদের। তবে ডিইউপি নতুন চুক্তিটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেছে, তারা চুক্তিটি সমর্থন করবে না। দেশ হিসেবে ব্রিটেন এই চুক্তি মেনে নিলে তবেই ইইউ আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমঝোতা মেনে নিতে প্রস্তুত৷
আরও পড়ুন