ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

কনের আত্মীয়রা মল মূত্র খাওয়ালো বরের পিতাকে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১১, ২০ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১৭:৪৭, ২০ অক্টোবর ২০১৯

কাউকে না জানিয়েই বিয়ে করে ফেলেন এক বৈমানিক সেনা অফিসার। কনে বাড়ির লোকজন এতে চরমভাবে ক্ষেপে গেলেন। এই অপরাধে ছেলের বাবাকে ধরে এনে বেধড়ক পিটিয়ে গায়ে প্রস্রাব করা এবং মল-মূত্র খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল কনের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। খবর আনন্দবাজারের

মারাত্মক এই ঘটনা ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের খুর্সিপার এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে তদন্তের স্বার্থে অভিযোগকারী বা অভিযুক্ত কোনও পক্ষেরই নাম-পরিচয় জানাতে চাইছে না পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বায়ুসেনার পাইলট পদে কর্মরত ওই বায়ুসেনা জওয়ানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল স্থানীয় এক তরুণীর। তিনি ডাক্তারি পড়ছিলেন। সম্প্রতি তরুণীর বাড়িতে কিছু না জানিয়েই দু’জন বিয়ে করেন। দু’জন একই সম্প্রদায়ের ছিলেন। কিন্তু মেয়ের বাড়ি থেকে এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি।

সেই আক্রোশেই কয়েক দিন আগে ওই অফিসারের বাবাকে রাস্তায় একা পেয়ে আক্রমণ করেন তরুণীর বাড়ির লোকজন। পুলিশে দায়ের করা এফআইআরে তিনি জানিয়েছেন, ওই দিন তিনি গাড়িতে করে একাই যাচ্ছিলেন। খুর্সিপার এলাকায় তরুণীর বাড়ির লোকজন তাঁর গাড়ি আটকায়। গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে শুরু হয় বেধড়ক মারধর। কয়েক জন তাঁর উপর প্রস্রাব করে দেন। জোর করে মল-মূত্র খাইয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই সময় তাকে হুমকি দিয়ে বলা হয় মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে। সেটা না করলে এবং পুলিশে জানালে ফল ভাল হবে না বলেও তাঁকে শাসানো হয়। তাঁর মুখ কয়লার গুঁড়ো দিয়ে কালো করে দেওয়া হয়। মারধরে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

জ্ঞান ফিরলে তিনি তাঁর ভাইকে ডেকে স্থানীয় থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার পর থেকেই তরুণীর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, ক্ষতি করার উদ্দেশে আঘাত করা, বেআইনি ভাবে আটক করা, ফৌজদারি উদ্দেশ্যে আঘাত, সম্মানহানি-সহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি