ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

যে গ্রামের সবাই কোটিপতি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪৮, ৩ নভেম্বর ২০১৯

অত্যাধুনিক লাইফস্টাইল এবং সব রকম সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন গ্রামটি দেখলে মনে হয় কাঁচা রাস্তা, মাটির বাড়ি এবং ফসলের খেতে ভরা। কিন্তু এ রকম দেখলে কি হবে, এই গ্রামের প্রতিটি মানুষ কোটিপতি। স্থাপত্যের দিক থেকেও এগিয়ে, এখানে রয়েছে ৭২তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন।

কমিউনিস্ট রাষ্ট্র চিনের ঝিয়াংসু প্রদেশের এই গ্রামটির নাম হুয়াক্সি। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রাম বলে ধরা হয় হুয়াক্সিকে। এটি ‘সুপার ভিলেজ’ নামে পরিচিত।

১৯৬১ সালে প্রথম এই গ্রামটি গড়ে ওঠে। তখন অন্যান্য গ্রামের মতোই খেত-খামার, কাঁচা বাড়িঘর, কদর্মাক্ত রাস্তাঘাট ছিল হুয়াক্সির। কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সেক্রেটারি উ রেনবাওয়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় গ্রামটি আধুনিক রূপ পায়। তখন হুয়াক্সিকে সোশালিস্ট গ্রামের তকমা দিয়েছেন গ্রামবাসীরাই।

আজ গ্রামটি শুধু অত্যাধুনিকই হয়নি, এর প্রতিটি বাসিন্দা সম্পদশালীও হয়েছে। যে চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, আজ সেই কোটিপতি হয়েছেন। এই গ্রামবাসীর যার কম আছে, তারও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ১০ লাখ ইউয়ান অর্থাৎ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা রয়েছে।

হুয়াক্সি গ্রামটির বাসিন্দা সর্বমোট ২ হাজার। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দাকে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি এবং জীবনযাপনের সব রকম সুবিধা দেওয়া হয়। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য জনগণের নিজেদের কোন টাকাপয়সা খরচ করতে হয় না। তবে এসব সুবিধা শুধু গ্রামের আসল বাসিন্দারাই ভোগ করেন।

গ্রামটিতে রয়েছে ৭২ তলার বহুতল ভবন। আছে শপিং মল এবং অত্যাধুনিক থিম পার্ক। আছে বেশ কয়েকটি বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। গ্রামবাসীরাই এর শেয়ারহোল্ডার। এসব প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লাভের এক-পঞ্চমাংশ দেওয়া হয় এই গ্রামের জনগণকে।

আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে এই গ্রামের প্রতিটি ঘরের আকার এবং নকশা একই রকম। বাইরে থেকে দেখে মনে হয় ছোট ছোট হাজারো হোটেল। এখানে পরিসেবায় চাইলেই হেলিকপ্টার পাওয়া যায়।

হুয়াক্সিতে নিয়মের বেশ কড়াকড়ি রয়েছে। একবার এই গ্রাম ছেড়ে চলে গেলে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেয় প্রশাসন। জুয়া, মাদক সবই নিষিদ্ধ এখানে। সপ্তাহে সাত দিনই কাজ করতে হয় গ্রামবাসীদের। কোন ছুটি নেই।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি