এইচ-ওয়ানবি ভিসায় আমেরিকায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ই কাজ করতে পারবেন
প্রকাশিত : ১৬:১৮, ১০ নভেম্বর ২০১৯
আমেরিকায় এইচ-ওয়ানবি ভিসায় যারা কাজ করছিলেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। কেননা ট্রাম্প প্রশাসন এই নিয়মটি বাদ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন আদালতের রায়ে তাঁদের মধ্যে সাময়িক স্বস্তি ফিরেছে। এখন এইচ-ওয়ানবি ভিসায় স্বামী-স্ত্রী উভয়েই আপাতত চাকরি করতে পারবেন মার্কিন রাষ্ট্রে। এই রায়ের ফলে তাদের চাকরিও ছাড়তে হবে না, দেশেও ফিরতে হবে না।
গত শুক্রবার আমেরিকার ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া সার্কিটের ‘কোর্ট অফ অ্যাপিলসে’র তিন বিচারকের একটি বেঞ্চ এইচ-ওয়ানবি ভিসা আইনের রদবদল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন।
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে এইচ-ওয়ানবি ভিসায় স্বামী-স্ত্রী উভয়েই কাজ করতে পারতেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই এইচ-ওয়ানবি ভিসা আইনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলতে থাকে। এই লক্ষ্যে ট্রাম্প ঘোষণা করেন ‘আমেরিকা
ফার্স্ট’ নীতি।
এতে বলা হয়, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও অন্যান্য সংস্থায় আমেরিকার নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে চান প্রেসিডেন্ট। তাই এইচ-ওয়ানবি ভিসার
সুবিধা কাটছাঁট করা জরুরি। এইচ-ওয়ানবি ভিসা হাতে থাকা অন্য দেশের নাগরিকদের নিয়োগ করতে পারে মার্কিন সংস্থা তো বটেই, আমেরিকায় বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থাগুলোও।
এইচ-ওয়ানবি ভিসায় সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছিলেন মহিলারা। কেননা এই ভিসার বেশির ভাগই ছিল পুরুষদের হাতে। স্বামীদের বদৌলতে
কাজ করে যাচ্ছিলেন স্ত্রীরাও। যদি ট্রাম্প প্রশাসন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিটি কার্যকর করে ফেলতে পারতো তবে স্ত্রীদেরকে কাজ ছাড়তে হতো এবং আমেরিকা ছাড়ার আশঙ্কাও হয়ত দেখা দিতে পারতো।
এএইচ/
আরও পড়ুন