ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শ্রীলঙ্কায় ছোট ভাই প্রেসিডেন্ট, বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০২, ২১ নভেম্বর ২০১৯

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিজেরই বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাচ্ছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। প্রেসিডেন্ট নিজেই বুধবার মাহিন্দা রাজাপাকসের নাম পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন দুই মেয়াদে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা মাহিন্দা।

গত শনিবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের উপরে ইস্তফা দেওয়ার চাপ আসছিল। বিজয়ী শিবিরের সেই চাপেই রনিল বুধবার নিজে থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। তার এই সিদ্ধান্তের পরেই গোতাবায়া রাজাপাকসে তার ভাই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোর কথা ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে রনিল বিক্রমসিংহ বলেন, পার্লামেন্টে এখনও তার সরকারের গরিষ্ঠতা রয়েছে। তবু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রায়কে মর্যাদা দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব ছাড়বেন আজ বৃহস্পতিবার।

এদিকে, গত বছরের অক্টোবরে মাহিন্দাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসিয়েছিলেন তত্‍কালীন প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপাল সিরিসেনা। মাহিন্দার পরে প্রেসিডেন্ট হন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সিরিসেনা। তিনি মাহিন্দাকে প্রধানমন্ত্রী করেও কিন্তু টিকিয়ে রাখতে পারেননি। একাধিক বার সুযোগ পেয়েও গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে পারেননি মাহিন্দা। তা সত্ত্বেও পদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে দীর্ঘ অচলাবস্থা, সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়। এহেন পরিস্থিতিতে রনিলের অনুগামীরা আদালতের শরণাপন্ন হন। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মাহিন্দার ‘প্রধানমন্ত্রিত্ব’ অবৈধ। সিরিসেনা যেভাবে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন, তাও অবৈধ ঘোষণা করা হয়। সুপ্রিম ধাক্কায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ‘প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা’ দিতে বাধ্য হন মাহিন্দা।

বছর ঘোরার আগেই ভাইয়ের সৌজন্য প্রধানমন্ত্রীর সেই কুরসি ফিরে পাচ্ছেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। ওই সময়ে তার ভাই গোতাবায়ার (শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ) বিরুদ্ধে লিবারেশন টাইগারস অব তামিল ইলম (এলটিটিআই) গেরিলাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি অংশ তার নির্দেশে সাদা ভ্যানে চড়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা করত বলে অভিযোগ আছে। রাজাপাকসে ভাইদের জমানায় শ্রীলঙ্কা কতটা চীন ও তাদের মিত্র পাকিস্তান ঘেঁষা নীতি নিয়ে চলে, সে দিকে সতর্ক নজর রাখছে দিল্লি।

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি