ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পিছু হটবে না বিজেপি: অমিত শাহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৮, ৪ জানুয়ারি ২০২০

অমিত শাহ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- ফাইল ছবি

অমিত শাহ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- ফাইল ছবি

ভারতের দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে মমতাকে ‘দিদি’ ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরও যেন মন গলেনি মমতার। এরই মধ্যে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জানালেন কড়া বার্তা। মমতা নিজের ভোটব্যাঙ্ক সামলাচ্ছেন, কিন্তু হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবেনই। নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে এক ইঞ্চিও পিছু হটবে না বিজেপি বলে সাফ জানিয়েছেন অমিত শাহ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র। 

অমিত শাহের এমন বক্তব্যের জবাবও দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বলা হয়, ‘তৃণমূল নেত্রী আগেই বলেছেন জীবন থাকতে তিনি রাজ্যে সিএএ, এনআরসি করতে দেবেন না। আমাদেরও চ্যালেঞ্জ রইল, বিজেপি করে দেখাক।’

জোধপুরের সভায় আজ শনিবার মমতাকেই আক্রমণের মূল লক্ষ্য করেছিলেন অমিত শাহ। মেরুকরণের রাজনীতি উস্কে দিয়ে তৃণমূলনেত্রীর প্রতি তিনি প্রশ্ন ছোড়েন, ‘কোথায় যাবেন নমশূদ্র মানুষেরা? কোথায় যাবেন বাংলাভাষী শরণার্থীরা? আমি মমতা দিদিকে প্রশ্ন করতে চাই, এঁরা আপনার কী ক্ষতি করেছেন? বাঙালি দলিত, বাংলাভাষী হিন্দুরা আপনার কী ক্ষতি করেছেন? কেন এঁদের নাগরিকত্বের বিরোধিতা করছেন?’

একই রকম চড়া সুরে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বও পাল্টা বলেছেন, ‘অমিত শাহ না-চেনেন পশ্চিমবঙ্গ, না-জানেন উদ্বাস্তুদের প্রকৃত সমস্যা কী। তাঁর জেনে রাখা উচিত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যের সব উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তার ফলে উদ্বাস্তুরা জমির অধিকার পেয়েছেন, নাগরিকত্বের স্বীকৃতি পেয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গই প্রথম রাজ্য, যেখানে উদ্বাস্তুদের এই অধিকার দেওয়া হয়েছে। আর সেই সত্য গোপন করে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছেন অমিত শাহ। তাঁর দুরভিসন্ধি সফল হবে না।’

আসামের অভিজ্ঞতা সামনে রেখে এনআরসির দরুন মানুষের হয়রানির আশঙ্কা নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা। অমিত শাহ বলেন, ‘মমতা দিদি আপনি বলেছেন, মানুষের লাইন পড়ে যাবে। নানা রকম প্রমাণ চাওয়া হবে। আমি বাংলায় বাস করা সব শরণার্থীকে আশ্বস্ত করছি, আপনারা এত দিন প্রতারিত হয়ে এসেছেন। আর সহ্য করতে হবে না। আপনাদের সম্মানের সঙ্গে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মমতা দিদিকে ভয় পাবেন না। মমতা দিদি আপনাদের ভাল চান না, নিজের ভোটব্যাঙ্ক সামলাতে চান।’ 

অমিত শাহের অভিযোগ, মমতার সঙ্গে ‘রাহুলবাবা’ (রাহুল গাঁধী), মায়াবতী, কেজরীবাল, এসপি, বামেরা জোট বেঁধে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। তাঁর কথায়, ‘সব দল একজোট হলেও নাগরিকত্ব আইন থেকে এক ইঞ্চিও পিছু হটবে না বিজেপি।’ মমতাকে অমিত শাহের প্রশ্ন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুর সংখ্যা কমে গিয়েছে কেন? তাদের মেরে ফেলা হয়েছে, ধর্মান্তর করা হয়েছে, নাকি তারা ভারতে এসেছেন? তাদের উপরে নির্যাতন হয়েছে, তার থেকে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে পারে না বলে দাবি করেছেন অমিত শাহ। 

এমএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি