ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ১২টি মিসাইল হামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩১, ৮ জানুয়ারি ২০২০

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ‘আইন আল-আসাদের’ ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। খবর পার্সটুডে’র।

বুধবার ভোররাতে ইরাকে অবস্থিত দুইটি মার্কিন বিমান ঘাটিতে ১২টির বেশি ব্যালেস্টিক মিসাইল হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর।

আইআরজিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানির ওপর আগ্রাসী মার্কিন সেনাদের সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক হামলার কঠোর জবাব দিতে আইন আল-আসাদ ঘাঁটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে।

আইআরজিসি’র বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার কাপুরুষোচিত পদক্ষেপের ‘কঠোর প্রতিশোধ’ নেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। বুধবার ভোররাতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন বিমানঘাঁটি ‘আইন আল-আসাদ’র ওপর ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করে ঘাঁটিটিতে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

অভিযানটির নাম দেয়া হয়েছে ‘শহীদ সোলাইমানি’ এবং এই অভিযানের মাধ্যমে যে ‘মহান বিজয়’ অর্জিত হয়েছে সেজন্য বিবৃতিতে ইরানের মুসলিম জাতিকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন বলেছে, তাদের ঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া, ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় ইরবিল শহরের মার্কিন ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে।

আইআরজিসি’র বিবৃতিতে ‘বড় শয়তান’, ‘রক্তপিপাসু’ ও ‘দাম্ভিক’ যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলা হয়, যদি আবার কোনও ‘শয়তানি’ করা হয় কিংবা কোনও আগ্রাসন বা উসকানি চালানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে ওয়াশিংটনকে এর চেয়ে ‘বেদনাদায়ক’ ও ‘বিপর্যয়কর’ জবাব দেয়া হবে।

একইসঙ্গে বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব মিত্র দেশ তাদের ঘাঁটিগুলোকে এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে তাদের প্রতিও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। বলা হয়, যে দেশের ভূমি থেকেই ইরানের ওপর হামলা চালানো হবে সেই দেশকে শত্রু দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে তার ওপরও আক্রমণ চালানো হবে।

ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার অপরাধে ইসরাইলকেও ইরান যুক্তরাষ্ট্রের মতো সমান অপরাধী বলে গণ্য করে। বিবৃতিতে এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আগে মধ্যপ্রাচ্য থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

গত শুক্রবার ইরাক সরকারের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দেশটি সফরকারী ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে সন্ত্রাসী মার্কিন সেনারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো ওই হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিস এবং দু’দেশের আরও ৮ সেনা নিহত হন। ইরাক ও ইরানের বহু শহরে অসংখ্যবার জানাজার নামাজ শেষে মঙ্গলবার রাতে জেনারেল সোলাইমানির লাশ তার জন্মভূমি ইরানের কেরমান শহরে দাফন করার কয়েক ঘণ্টা পার মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হলো।

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি