শান্তির খোঁজে বিশ্বনেতাদের জরুরি বৈঠক
প্রকাশিত : ২৩:৪৭, ১৯ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২৩:৫০, ১৯ জানুয়ারি ২০২০
জরুরী বৈঠকে বিশ্ব নেতারা
শান্তির খোঁজে আলোচনায় বসেছেন বিশ্বনেতারা। দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে লিবিয়ায় চলা সংঘাত থামাতে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে এক হয়েছেন তারা। রোববার (১৯ জানুয়ারি) লিবিয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও চলমান সংকটের যথার্থ সমাধানের লক্ষ্যে যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে নিয়ে এক টেবিলে জড়ো হন বিশ্বনেতারা। খবর আনাদোলু'র।
বিশ্বনেতাদের এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ত্রিপোলিভিত্তিক জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার জাতীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়াজ আল-সারাজ এবং বেনগাজিভিত্তিক বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতার। লিবিয়ার সংকট নিরসনের চেষ্টা হিসেবে ২০১৮ সালের পর এটাই প্রথম কোনও বৈঠক।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের যৌথ সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান, ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
এছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও আরব লীগের নেতারাও।
বৈঠক শুরুর আগে এরদোগান বলেন, লিবিয়ার ‘লৌহমানব’ হাফতারকে অবশ্যই তার সংঘাতপূর্ণ মনোভাব ত্যাগ করতে হবে।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি তুরস্ক ও রাশিয়ার যৌথ আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় লিবিয়ায় যুদ্ধরত আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার এবং বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী। পরে রাশিয়ায় উভয়পক্ষ স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় বসলে কোনও প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াই মস্কো ছাড়েন জেনারেল হাফতার।
২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
যার একাংশ, রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার। অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ শহর বেনগাজিকে কেন্দ্র করে দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয় মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী।
এনএস/
আরও পড়ুন