সিএএ বিরোধী মিছিলে যুবকের গুলি
প্রকাশিত : ১৭:৫৮, ৩০ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৮:০০, ৩০ জানুয়ারি ২০২০
বন্দুক উঁচিয়ে রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায় অভিযুক্তকে। ছবি: রয়টার্স।
কিছুদিন আগে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে দেশের বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করে মারার কথা বলেছিলেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। তার পরে এক সপ্তাহও কাটেনি। তার আগেই দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী মিছিলে পিস্তল হাতে চড়াও হলেন এক ব্যক্তি।
‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে গুলিও ছুড়লেন তিনি। তাঁকে বাধা দেওয়া তো দূর, চোখের সামনে সব কিছু দেখেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল দিল্লি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মহাত্মা গাঁধীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সিএএ বিরোধী নিয়ে মিছিল নিয়ে রাজঘাটের দিকে এগোচ্ছিল জামিয়া পড়ুয়া এবং সাধারণ মানুষের একটি দল। তার জন্য আগে থেকেই ওই এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন ছিল। মিছিল আটকাতে হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে বসানো হয়েছিল ব্যারিকেডও। তার জেরে এগোতে না পেরে ব্যারিকেডের সামনেই রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেইসময়ই তাঁদের উপর চড়াও হন অভিযুক্ত ওই যুবক।
আন্দোলনকারীদের মোবাইলে তোলা গোটা ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ব্যারিকেডের উল্টো দিকে পুলিশের জমায়েত রয়েছে। তাদের সামনেই পিস্তল হাতে রাস্তার উপর দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত যুবক। পরনে রয়েছে সাদা ট্রাউজার এবং কালো জ্যাকেট।
আক্রান্ত শিক্ষার্থী। ছবি: পিটিআই।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পিস্তল উঁচিয়েই আন্দোলনকারীদের শাসাতে শুরু করেন অভিযুক্ত। বলেন, ‘‘কিসকো আজাদি চাহিয়ে? ম্যায় দুঙ্গা আজাদি। ইয়ে লো আজাদি।’’ তার পরেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের দিকে তিনি গুলি ছোড়েন বলে অভিযোগ।
আচমকা এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়লেও, আন্দোলনকারীরাই অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন বলে জানা গিয়েছে। তার পর তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম গোপাল। বয়স ৩১ বছর। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ‘রামভক্ত গোপাল’ নামে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। তাতে শাহিন বাগের আন্দোলনকে শেষ করার একাধিক হুমকি দিয়েছেন তিনি। হামলার আগে এ দিন ওই অ্যাকান্ট থেকে লাইভও করেন তিনি।
অন্য দিকে, অভিযুক্তের গুলিতে শাদাব নামের জামিয়ার এক পড়ুয়া আহত হয়েছেন। তাঁর হাতে গুলি লেগেছে। তিনি আদতে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। হামলার পর প্রথমে হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এমস)-এর ট্রমা সেন্টারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্র: আনন্দবাজার
এসি
আরও পড়ুন