ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

করোনার হানা থেকে বাঁচতে বাঙ্কারে আশ্রয়!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩৭, ১৩ মার্চ ২০২০

বিশ্বের বড় বড় ধনকুবেররা করোনার হানা থেকে বাঁচতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন। আর কেউ কেউ ব্যক্তিগত বিমান ভাড়া করে ছুটছেন নির্জন শৈল-নিবাস বা বিনোদন কেন্দ্রে।

এদের মধ্যে কেউ কেউ নিজে বা পরিবারের সদস্যরা সত্যিই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ও নার্স বহরকে নিজেদের সঙ্গী করেছেন। পাশাপাশি করোনাভাইরাস শরীরে ঢুকেছে কিনা তা শনাক্ত করার জন্য বিশ্বের খ্যাতনামা প্রাইভেট ক্নিনিকগুলোতে ঢুঁ মারছেন।

লন্ডনের হার্লি স্ট্রিটের একটি খ্যাতনামা ক্লিনিকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানান, তাদের উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য-ভোক্তাদের সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা ব্রিটেনের বাইরে অন্য কোনও দেশে করার ব্যবস্থা করা হবে। ব্রিটেনে করোনা পরীক্ষার যে নীতিমালা বেঁধে দেয়া হয়েছে তার আওতায় এসব ভোক্তার পরীক্ষা দেশটিতে করা সম্ভব নয়।

আতঙ্কিত ধনকুবেররা কেবল পরীক্ষাই করে ক্ষান্ত দেন নি। বরং অনেকেই কোভিড-১৯’এর টিকার জন্যও বায়না ধরেছেন। এখনও করোনাভাইরাস ঠেকাতে কার্যকর কোনও টিকা বের হয় নি। 
ব্রিটেনের অন্যতম কার্ডিওভাসকুলার সার্জন আলী জানান, এ ক্ষেত্রে ফ্লু ঠেকানোর প্রচলিত টিকা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, করোনাভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে জীবন যাত্রার পরিবর্তন নিয়ে বিশদ আলোচনা ও সুপারিশ করা হচ্ছে।

ভূগর্ভস্থ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ভিবোস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী রবার্ট ভিসিনো জানান, করোনার প্রকোপ দেখা দেয়ার পর এ ধরণের কেন্দ্রের বিক্রি বেড়েছে। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত খোঁজখবর নেয়ার বিষয়টিও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

ইন্ডিয়ানায় শীতল যুদ্ধের সময় নির্মিত বাঙ্কারকে ৮০ ব্যক্তির বসবাসের উপযোগী করা হয়েছে। এ ছাড়া সাউথ ডাকোটাতে পরিত্যক্ত ৫৭৫টি বাঙ্কারকে আবাসিক অবস্থায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সব বাঙ্কার দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে অস্ত্রাগার হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল।

সংস্কার করে এ সবের কোনও কোনওটায় ভূগর্ভস্থ সাঁতারখানা বা সুইমিং পুল, সিনেমা বা বিনোদন কেন্দ্রসহ নানা সুবিধা যোগ করা হয়েছে। কোনও কোনও আশ্রয় কেন্দ্রের ভূগর্ভে ১৫ তলা স্থাপনা রয়েছে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি