করোনার বিষয়ে সতর্ক করায় মার্কিন ক্যাপ্টেনকে নৌবাহিনী থেকে অপসারণ
প্রকাশিত : ১৭:৪৫, ৩ এপ্রিল ২০২০
অতিস্বত্ত্বর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে চিঠি লেখেন ক্যাপ্টেন ক্রোজিয়ার- এএফপি
মার্কিন নৌবাহিনী তাদের বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না- এমন মন্তব্য করার পর জাহাজটির কমান্ডারকে অপসারণ করা হয়েছে। খবর বিবিসি’র।
জাহাজটির ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ার তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন সেনাদের মৃত্যু ঠেকাতে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করেন। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন নৌবাহিনী সচিব থমাস মোডলি মন্তব্য করেন যে, কমান্ডার ‘অত্যন্ত দুর্বল মাপকাঠিতে যাচাই করে’ মন্তব্য করেছেন। বিভিন্ন রিপোর্টে জানা যায়, ঐ জাহাজটিতে অন্তত ১০০ জনের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে।
নৌবাহিনী সচিব কী বলেছেন?
বৃহস্পতিবার নৌবাহিনী সচিব মোডলি সাংবাদিকদের বলেন, চিঠিটি মিডিয়ার সামনে ফাঁস করার অভিযোগ ক্যাপ্টেন ক্রোজিয়ারকে ‘চাকরিচ্যুত’ করা হয়। ঐ চিঠিটি এমন একটি ধারণা দেয় যে নৌবাহিনী তার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না। এটা এমন একটা ধারণা তৈরি করে যে নৌবাহিনী তাদের কাজ করছে না, সরকার তাদের কাজ করছে না। যেটা একেবারেই সত্য নয়।
জাহাজটিতে সংক্রমিত হননি, এমন ৪ হাজার ক্রু'কে গুয়ামে কোয়ারেন্টিন করা হচ্ছে। সেখানে স্থানীয়দের সাথে সংস্পর্শে না এসে তারা যতদিন ইচ্ছা থাকতে পারবে বলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপটির গভর্নর জানিয়েছেন।
ক্যাপ্টেন ক্রোজিয়েরের চিঠিতে কী ছিল?
জাহাজের ক্রু'দের আবদ্ধ জায়গায় বসবাস করতে হচ্ছে বলে সেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে বলে ক্যাপ্টেন ক্রোজিয়ের তার চিঠিতে পেন্টাগনকে সতর্ক করেছিলেন। ৩০ মার্চে লেখা চার পৃষ্ঠার ঐ চিঠিতে তিনি লেখেন, আমরা যুদ্ধের মধ্যে নেই। নাবিকদের মারা যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
জাহাজ থেকে সংক্রমণ মুক্ত ক্রু'দের সরিয়ে নিয়ে আলাদা করতে দ্রুত সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান ক্যাপ্টেন ক্রোজিয়ার। ঐ চিঠিটি পরে স্যান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকলে ছাপা হয়।
এই ঘটনায় কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে?
মার্কিন কংগ্রেসের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক কমিটির ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের এক বিবৃতিতে উঠে আসে, ক্যাপ্টেন ক্রোজিয়ার নিশ্চিতভাবে চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করেছেন। তবে এই সঙ্কটময় সময়ে তাকে অব্যাহতি দেয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে এবং বাহিনীর সদস্যদেরকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। এতে করোনাকালীন সময়ে তাদের প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটাবে। ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টে যেই সঙ্কট তৈরি হয়েছে, পূর্ণ তদন্ত ছাড়া কমান্ডিং অফিসারকে সরিয়ে আনার মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান হবে না।
এমএস/
আরও পড়ুন