ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৬ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

প্রেসিডেন্ট না থেকেও যেসব সুযোগ সুবিধা পাবেন ট্রাম্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৩, ৮ নভেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেন। ক্ষমতায় থেকে ব্যাপক ব্যবধানে হেরে গেলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই আড়াই মাসের মধ্যেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যেতে হবে তাকে। তবে প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়লেও ট্রাম্পের জন্য সরকারি খাতে খরচ খুব কম হবে না আমেরিকার।

বেশ মোটা অঙ্কের পেনশন তো পাবেনই আজীবন। সঙ্গে পাবেন আমেরিকার ঝাঁকজমক এলাকায় অফিস চালানোর বিশাল জায়গা। তার যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার। সেই অফিসে বহু কর্মী রাখার যাবতীয় খরচও পাবেন। 

তা ছাড়াও পাবেন বিস্তর ঘোরাঘুরি আর টেলিফোনের খরচ। আর আজীবন পাবেন তিনি ও নিজের পরিবারের জন্য সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা রক্ষার সুবিধা। যার সব খরচই বহন করবে রাষ্ট্রীয় অর্থ ভান্ডার।

আমেরিকার সংবিধান মোতাবেক শুধু ট্রাম্প নন, তাকে নিয়ে আমেরিকার যে ৪৫ জন প্রেসিডেন্ট এখন পর্যন্ত অবসরে গিয়েছেন আজীবন তাদের সকলের জন্যই সরকারি খাতে পেনশনসহ ওই সব ক্ষেত্রে বিশাল অঙ্কের অর্থবরাদ্দ থাকে প্রতি বছরের বাজেটে। যার শুরুটা হয়েছিল ১৭৮৯ সালে আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন ক্ষমতাসীন হওয়ার পরেই।

সব প্রাক্তন প্রেসিডেন্টই আমেরিকার সংবিধানের রীতি অনুযায়ী বেতন পান। ২০১৭ সালে সেই পরিমাণ ছিল প্রতি বছরে ২ লাখ ৭ হাজার ৮০০ ডলার। এটা শুধুই বেতন, অন্যান্য ভাতা তো রয়েছেই।

২০১৮ সালে কংগ্রেসে যে বাজেট প্রস্তাব জমা পড়েছিল তাতে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অফিসের জায়গার জন্য খরচ রাখা হয়েছিল ৫ লাখ ৩৬ হাজার ডলার। আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের ঘোরাঘুরির জন্য খরচ বরাদ্দ করা হয়েছিল ৬৮ হাজার ডলার।

শুধু তাই নয় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের স্ত্রীদের মোটা অঙ্কের পেনশন পাওয়ারও অধিকার দেওয়া হয়েছে আমেরিকার সংবিধানে। সেটাও খুব কম নয়! বছরে ২০ হাজার ডলার। তা আবার আজীবন পেয়ে যাবেন। সঙ্গে তারাও পান ঘোরাঘুরি, টেলিফোন ও যোগাযোগরক্ষার যাবতীয় খরচ।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও তার পরিবারের নিরাপত্তারক্ষার জন্য ২০১৫ সালে বরাদ্দ হয়েছিল ২ লাখ ডলারেরও বেশি। আর সেই খরচটা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ক্ষেত্রে ছিল ৮ লাখ ডলার।

এই সব ছাড়াও আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা আত্মজীবনী লিখে, কোন নামজাদা কর্পোরেট সংস্থার পরিচালন বোর্ডের সদস্য হয়ে বা বিশ্বের নানাপ্রান্তে আমন্ত্রণী বক্তৃতা দিয়ে প্রচুর ডলার উপার্জন করতে পারেন। আমেরিকার সংবিধানে সেই অধিকার দেওয়া রয়েছে।

অবসর নেওয়ার পর শুধু বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দিয়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন উপার্জন করেছিলেন সাড়ে ৬ কোটি ডলার। আর আত্মজীবনী ছাপিয়ে আয় করেছিলেন দেড় কোটি ডলার। এই সব সুযোগ থাকবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও।

এএইচ/এসি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি