ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আম্পানে পশ্চিমবঙ্গে মৃত বেড়ে ৮০

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫০, ২২ মে ২০২০

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার ব্যাটারা এলাকার সানপুরে মৃত দুই যুবকের লাশ সরানো হচ্ছে। ছবি: আনন্দবাজার

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার ব্যাটারা এলাকার সানপুরে মৃত দুই যুবকের লাশ সরানো হচ্ছে। ছবি: আনন্দবাজার

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে কলকাতায় ১৯ জন এবং অন্যান্য জেলায় ৬১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘূর্ণিঝরে ক্ষয়ক্ষতি মেরামতে প্রাথমিকভাবে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া মৃতদের পরিবারকে আড়াই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।

স্থানীয় প্রশাসন বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, কলকাতায় পানিতে ডুবে চার জন এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। রিজেন্ট পার্কে দেওয়াল চাপা পড়ে এক মহিলা ও তাঁর ছেলে এবং কড়েয়ায় টালির চাল ভেঙে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ে উড়ে আসা টিনের চালার আঘাতে শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে বাড়ি চাপা পড়ে সাঁতরাগাছিতে মৃত্যু হয় রজত পোলেন নামে এক যুবকের। এ দিন ভোরে বেলুড়ে বিকাশ সিংহ নামে এক যুবক ছেঁড়া তার সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। টিকিয়াপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় খালেদ নিশাদ নামে এক ব্যক্তির। ব্যাঁটরার সানপুরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই যুবকের। 

উত্তর শহরতলি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় প্রায় ৪৫ হাজার বাড়ি কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে ১৫ জনের মৃত্যু এবং  ৬৫ জন আহত হয়েছেন। জেলার প্রায় সর্বত্র বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত। উপড়ে পড়েছে প্রায় ১১ হাজার গাছ।

পূর্ব মেদিনীপুরে হলদিয়া মহকুমায় চার জন এবং কাঁথি মহকুমায় দু’জন মারা গেছেন। আহত অন্তত ১০ জন। পশ্চিম মেদিনীপুরে দু’জন মারা গেছেন। তবে দাঁতন, কেশিয়াড়ি, মোহনপুরেই ক্ষতির পরিমাণ বেশি। নদিয়া জেলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত ৬১। 

পূর্ব বর্ধমানে মঙ্গলকোটে দেওয়াল চাপা পড়ে রাধারমন ঘোষ (৭২) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

আবাসন মেরামত, সেচ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, পুকুর পরিষ্কার, মাছ ছাড়া এবং পুনর্গঠনের কাজ হাতে নিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া বিশুদ্ধ পানী, ওষুধ, খাবার, মেডিক্যাল ক্যাম্প, রেশন ইত্যাদি পরিষেবা অবিলম্বে সচল করতে চাইছে রাজ্য সরকার।

ফসলের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তৈরির পাশাপাশি কৃষকদের সাহায্যের রূপরেখা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ঘূর্ণিঝড় আম্পান-পরবর্তী পুনর্গঠনে মন্ত্রীদের মধ্যে দায়িত্ব বন্টন করে দিয়ে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, জেলা শাসকদের সহযোগিতা করতে হবে মন্ত্রী এবং জনপ্রতিনিধিদের।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি