ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ইসরাইলের আদালতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিচার শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৪, ২৫ মে ২০২০

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিচার শুরু করেছে দেশটির আদালত। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদে শপথ গ্রহণের মাত্র কয়েকদিন পরই এ বিচার শুরু হলো। ইসরাইলের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর ফৌজদারি মামলার বিচার হচ্ছে। খবর বিবিসি’র

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আনা তিনটি মামলার প্রথমটিতে বলা হয়, তিনি ক্ষমতাধর ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেবার বিনিময়ে চুরুট এবং শ্যাম্পেইনের বোতলসহ নানা উপহার গ্রহণ করেছেন।

দ্বিতীয়টিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইসরাইলি সংবাদপত্র ইয়েদিওত আহরোনট-কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে, তার ব্যাপারে ইতিবাচক খবর ছাপালে তিনি পত্রিকাটির বিক্রি বাড়াতে সহায়তা করবেন।

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, মি. নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী এবং যোগাযোগমন্ত্রী থাকার সময় টেলিকম প্রতিষ্ঠান শাওল এলোভিচের সংবাদ ওয়েবসাইটে ইতিবাচক রিপোর্টের বিনিময়ে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের সুবিধা হয় এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কাজ করেছেন।

৭০ বছরের বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জেরুসালেমের আদালতে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, যে কোন উপায়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করাই এসব মামলার লক্ষ্য। এসব অভিযোগ ওঠার পর তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

দক্ষিণপন্থী লিকুদ পার্টির নেতা নেতানিয়াহু হচ্ছেন ইসরাইলের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। দেশটিতে তিনি ২০০৯ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় আছেন এবং এর আগে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত আরেক দফা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

প্রথম দিনের শুনানীতে নেতানিয়াহুকে যাতে হাজিরা দিতে না হয়, এজন্য তার আইনজীবীরা আবেদন করেছিলেন।  কিন্তু আদালত সে আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এ সময় জেরুসালেমের আদালতের কাছে তার সমর্থক এবং বিপক্ষের বিক্ষোভকারীরা সমবেত হয়েছিল।

 জানা যায়, ইসরাইলের আইনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের হলেও তার পদত্যাগ করতে হয় না। ফলে দোষী প্রমাণিত হলেও নেতানিয়াহু সবরকম আপিলের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। তাই বলা হচ্ছে, এ মামলা কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর ধরেও চলতে পারে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি