ভারতে আক্রান্ত দেড় লাখের কোটায়, মৃত্যু ৪ হাজার
প্রকাশিত : ১২:৫০, ২৬ মে ২০২০
ভারতে থামছেই না করোনার প্রকোপ। উল্টো সময় যত গড়াচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। সোমবারই দেশটি সংক্রমণের নিরিখে ইরানকে ছাপিয়ে বিশ্বের প্রথম দশে ঢুকে পড়ে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ছয় হাজার ৫৩৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্ত বেড়ে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাট ও দিল্লিতে।
একইসঙ্গে গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় প্রাণহানি চার হাজার ১৬৭ জনে ঠেকেছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৬৯৫ জনের। ৮৮৮ জন মারা গেছেন গুজরাটে। মধ্যপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৩০০ আর পশ্চিমবঙ্গে ২৭৮। শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে দিল্লি (২৭৬), রাজস্থান (১৬৭), উত্তরপ্রদেশ (১৬৫) ও তামিলনাড়ু (১১৮)।
দেশের মধ্যে প্রথম করোনা সংক্রমণের সন্ধান মিলেছিল কেরলে। তার কয়েক দিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে উঠে এসেছিল মহারাষ্ট্র। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৬৬৭ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন দু’হাজার ৪৩৬ জন।
আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে তামিলনাড়ু। এ রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৮২ জন। এরপরই গুজরাট। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৪৬০ জন। রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫৩ জন।
এরপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে রাজস্থান (৭ হাজার ৩০০), মধ্যপ্রদেশ (৬ হাজার ৮৫৯), উত্তরপ্রদেশ (৬ হাজার ৫৩২), পশ্চিমবঙ্গ (৩ হাজার ৮১৬), অন্ধ্রপ্রদেশ (৩ হাজার ১১০), বিহার (২ হাজার ৭৩০), কর্নাটক (২ হাজার ১৮২), পঞ্জাব (২ হাজার ৬০), তেলঙ্গানা (১ হাজার ৯২০), জম্মু-কাশ্মীর (১ হাজার ৬৬৮), ওড়িশা (১ হাজার ৪৩৮) ও হরিয়ানা (১ হাজার ১৮৪)।
পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৮১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছে ১৪৯ জন। প্রাণ গেছে এখন পর্যন্ত ২৭৮ জনের। যদিও রাজ্য সরকারের হিসেবে, করোনা ২০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৭২ জনের কোমর্বিডিটির কারণে মৃত্যু হয়েছে।
তবে ভারতজুড়ে সংক্রমণ যতটা ছড়াচ্ছে, তার থেকে কিছুটা কম হলেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে সুস্থতার হার। যার সংখ্যা ৬০ হাজার ৪৯১ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় বেঁচে ফিরেছেন দু’হাজার ৭৭০ জন।
এআই//
আরও পড়ুন