ব্রাজিলে করোনায় সোয়া লাখ প্রাণহানির শঙ্কা
প্রকাশিত : ১৪:২৩, ২৭ মে ২০২০
বিশ্বব্যাপী জেঁকে বসা প্রাণঘাতি করোনার প্রাণকেন্দ্র এখন লাতিন আমেরিকা। যেখানে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে আক্রান্তের হার। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
বিশেষ করে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, এল সালভেদর, গুয়েতেমালা ও নিকারগুয়ার মতো দেশগুলাতে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ব্রাজিলে।
যেখানে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার হয়েছেন প্রায় ৪ লাখ মানুষ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৭ হাজার ৪৬২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্ত বেড়ে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ১ হাজার ৭৬ জনের। এ নিয়ে প্রাণহানি ২৪ হাজার ৫৪৯ জনে ঠেকেছে।
ব্রাজিলে আক্রান্ত ও প্রাণহানির এমন হারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও।
সংস্থাটির বলছে, ‘চলমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী আগস্টের মধ্যে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে মৃতের সংখ্যা সোয়া লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। শুধু তাই, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে করোনা।’ খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উত্তর আমেরিকার করোনা পরিস্থিতিও ভালো নয়। এ মহাদেশে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবে আশার কথা হলো, সেখানে শেষ তিনদিন দৈনিক ৭০০ অতিক্রম করেনি। যা গত কয়েক মাসের হিসাবে বিরল ঘটনা।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর আমেরিকায় ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ কমার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে সতর্ক না থাকলে ফের এই সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটতে পারে।
লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ পেরুতে আক্রান্ত সোয়া লাখ ছাড়িয়েছে। যেখানে প্রাণহানি ৩ হাজার ৭৮৮ জন। চিলিতে সংক্রমিতের সংখ্যা ৭৮ হাজার ছুঁই ছুঁই। যদিও সেখানে প্রাণহানি অনেকটা কম। এখন ৮০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
এদিকে, রোগটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় চাপে রয়েছে ব্রাজিলের প্রশাসন। অভিশংসনের ঝুঁকিতে রয়েছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। তবে এসবের দায় তিনি নিতে নারাজ।
মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকার কথা বলসোনারোকে স্মরণ করিয়ে দিলে গত সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি তো মিরাকল কাজ করতে পারি না। আমাকে দিয়ে কী করাতে চান?’
এআই/
আরও পড়ুন