ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার জেরে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৬, ২৯ মে ২০২০ | আপডেট: ১৬:৪৯, ২৯ মে ২০২০

অগ্নিকাণ্ড ঘটনোর পর যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা হাতে এক বিক্ষোভকারী- এপি

অগ্নিকাণ্ড ঘটনোর পর যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা হাতে এক বিক্ষোভকারী- এপি

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিস। ইতোমধ্যেই বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা মিনিয়াপলিসের একটি থানায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ওই অগ্নিসংযোগের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। খবর সিএনএন’র।

পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংঘর্ষ এখনো চলছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো, ইলিনয়েস, লস অ্যাঞ্জেলসে, ক্যালিফোর্নিয়া, মেম্ফিস, টেন্নেসেতেও ওই হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে।

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসের এক পুলিশ কর্মকর্তা জর্জ ফ্লয়েড নামক এক আফ্রিকান আমেরিকানকে নিচে শুইয়ে হাঁটু দিয়ে চেপে রাখেন। এর জেরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি মৃত্যুর আগে বলতে থোকেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’ পথচারীরাও পুলিশকে বলতে থাকেন তাকে চেপে না রাখার জন্য। এই পুলিশি অত্যাচারের ঘটনা পথচারীরা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা ফ্লয়েডের নামে শ্লোগান দিচ্ছে এবং বলছে ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’।

মিনিয়াপোলিস পুলিশ স্টেশনের অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়ে তার সামনে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষোভকারীরা- স্টার ট্রিবিউন/এপি

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিনিয়াপোলিসের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ বাহিনী মার্কিন ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মার্কিন বিশেষ বাহিনীরও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এই সংঘর্ষের মধ্যে মিনিয়াপোলিস অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে লুট, অগ্নিসংযোগ, ভাঙ্গচুরের মত ঘটনা ঘটেছে। মিনিয়াপোলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্রে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার পুলিশকে কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে বরখাস্ত করেছেন।

সিএনএন জানিয়েছে, মিনিয়াপলিসের বিক্ষোভে অংশ নেয় কয়েক হাজার আন্দোলনকারী। তাদের অনেককে সংলগ্ন বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নিতে দেখা যায়। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদও বিক্ষোভ শান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।

সিএনএন-এর সাংবাদিক সারা সিডনার জানান, একদিকে থানার ভেতরে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে চলছে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা উল্লাস করছে। পুলিশের বেষ্টনী ঘিরে লোকজন আতশবাজি করছে। তবে কোনও সাইরেনের শব্দ পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিনির্বাপনকর্মীদের কোনও তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি।

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি