ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ওয়াশিংটনে বিক্ষোভের সময় বাঙ্কারে আশ্রয় নিলেন ট্রাম্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৬, ১ জুন ২০২০

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের নির্মম হত্যার ঘটনায় আমেরিকা জুড়ে চলছে প্রবল বিক্ষোভ ও আন্দোলন। সেই বিক্ষোভের আঁচ লাগে হোয়াইট হাউসেও। শুক্রবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউজের বাইরে বিক্ষোভ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখন নাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

এই খবর জানিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। এ থেকে জানা যায়, ওই বাঙ্কার থেকে ওপরে তোলার পর নাকি বেশ আতঙ্কেই ছিলেন মার্কিন ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি। ওই বাঙ্কারে প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থান করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউজের বাইরে শুক্রবার রাতে যেভাবে মানুষের বিক্ষোভ শুরু হয় তা দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাঙ্কারে পাঠানো হলেও মেলানিয়া ট্রাম্প এবং ব্যারন ট্রাম্পকেও তাঁর সঙ্গে সেখানে পাঠানো হয়েছিল কিনা তা এখনও অস্পষ্ট।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ যখন হোয়াইট হাউসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্ক পুলিশের কর্মকর্তারা  মাঝপথেই আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীদের।

পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়, তারপর থেকেই ওই ঘটনার বিরুদ্ধে ক্রমাগত মানুষের ক্ষোভ দানা বাঁধছে। শুক্রবারই ওই যুবকের হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভের সময় মিনেসোটা, নিউইয়র্ক এবং আটলান্টায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। 

শুরুর দিকে লস অ্যাঞ্জেলস ও নিউইয়র্কে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবেই নিজেদের দাবি তুলে ধরছিলেন। কিন্তু পরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে থাকে। জানা যায়, সিএনএন-এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুলিশের গাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। 

অগ্নিগর্ভ এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সতর্ক সেখানকার প্রশাসন। জানা গেছে, জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ২ হাজার সদস্যকে ১৫টি রাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে,  জর্জ ফ্লয়েড নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ডেরেক চওভেন নামে ওই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চার পুলিশ সদস্যকে তৎক্ষণাই বরখাস্ত করা হয়। ইতিমধ্যে ফ্লয়েডের পরিবার থেকে জড়িত চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের দাবি জানানো হয়।

মিনেসোটার ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক সেফটির কমিশনার জন হ্যারিংটন বলেন, গত সোমবার (২৫ মে) হ্যান্ডকাফ পরা ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট চেপে ধরে থাকেন ডেরেক চওভেন নামের শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা। ওই কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশ যে অত্যাচার করেছে তা পথচারীরা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভকারীরা ফ্লয়েডের নামে স্লোগান দিচ্ছেন এবং বলছেন 'আমি শ্বাস নিতে পারছি না'।

যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে ৩১টি অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এর মধ্যেই দেড় হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভ-সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি অঙ্গরাজ্যের ২৫টির বেশি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি