ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শুরুতে ডব্লিউএইচও’কে পর্যাপ্ত তথ্য দেয়নি চীন, রেকর্ডিং ফাঁস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০১, ৩ জুন ২০২০ | আপডেট: ২০:০৮, ৩ জুন ২০২০

Ekushey Television Ltd.

করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে চীনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যা তথ্য পাওয়া গেছে তার জন্যও বেশ বেগ পেতে হয়েছিল এই সংস্থাকে। এমনই তথ্য জানা গেছে সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ কয়েকটি বৈঠকের রেকর্ডিং থেকে। চীনের ভূমিকা নিয়ে ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তাদের প্রকাশ্যে করা প্রশংসার সঙ্গে ওই রেকর্ডিংয়ের কথাবার্তায় ব্যাপক বৈপরীত্য দেখা গেছে। খবর গার্ডিয়ান’র।

জানা যায়, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হওয়া বৈঠকগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা ভাইরাসের বিস্তৃতি এবং বাকি বিশ্বের জন্য এর ঝুঁকি কতটুকু তা নিরূপণে বেইজিংয়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন। এরও দুই সপ্তাহ পর চীন নতুন করোনাভাইরাস যে ছোঁয়াচে, তা প্রথম জানিয়েছিল। পরে ৩০ জানুয়ারি ডব্লিউএইচও ভাইরাস বিষয়ে সতর্ক করে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে। 

মার্কিন এপিডেমিওলজিস্ট মারিয়া ভ্যান কেরখোভক, যিনি ব্লিউএইচওর কোভিড-১৯ বিষয়ক কৌশলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই স্বল্প পরিমাণ তথ্য পাচ্ছি। সঠিক পরিকল্পনার জন্য এটা যথেষ্ট নয়,” বৈঠকের একটিতে থাকা এমনটাই বলতে শোনা গেছে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা গডেন গ্যালি বলেন, ‘আমরা এমন একটি পর্যায়ে আছি, যেখানে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভিতে কোনো তথ্য যাওয়ার কেবল ১৫ মিনিট আগে আমাদের সেটি জানায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের তিনটি সরকারি ল্যাবরেটরি ভাইরাসের বংশগতি বৈশিষ্ট্য বের করারও প্রায় এক সপ্তাহ পর বেইজিং ভাইরাসের জেনেটিক ম্যাপ প্রকাশ করে বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ভাইরাসটি নিয়ে আগে থেকে সতর্ক করা কিংবা দেরিতে তথ্য দেয়ার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ধারাবাহিকভাবে চীনের প্রশংসা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। 

৯ জানুয়ারি চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম উহানে অসংখ্য মানুষের অসুস্থতার পেছনে নতুন একটি করোনাভাইরাস দায়ী বলে জানালেও সেটি ছোঁয়াচে নয় বলে আশ্বস্ত করেছিল। তার দুই সপ্তাহ পরে দেশটির কর্মকর্তারা ভাইরাসটি মানবদেহ থেকে অন্য মানবদেহে ছড়ায় বলে স্বীকার করে নেন। সেসময় উহানের হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ রোগী উপচে পড়ছে। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে হুবেই প্রদেশের অন্যান্য এলাকাতেও। চীনের কর্তৃপক্ষ পরে ২৩ জানুয়ারি উহানকে লকড ডাউন করে দেয়; যদিও এর আগেই শহরটির অন্তত ৫০ লাখ লোক চীন এবং বিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েছিল।

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি