ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে উত্তাল বিক্ষোভে চার সাবেক রাষ্ট্রপতির সমর্থন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪১, ৪ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৬:৫৫, ৪ জুন ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর সপ্তাহজুড়ে দেশটিতে বিক্ষোভ করছেন নাগরিকরা। এতে সমর্থন জানিয়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দেশটির সাবেক চার রাষ্ট্রপতি। খবর এবিসি নিউজ, নিউ ইর্য়াক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ও বিবিসি’র।

বিক্ষোভে সমর্থন জানানো রাষ্ট্রপতিরা হলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বসূরী বারাক হোসেন ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বিল ক্লিনটন ও জিমি কার্টার। সব সীমাবদ্ধতাকে মোকাবেলা করে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।পৃথক বক্তৃতা ও বিবৃতিতে তারা একথা বলেন। এক বিবৃতিতে রিপাবলিকান পার্টি মনোনীত সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ লেখেন, ‘তিনি ও তার স্ত্রী লরা বুশ দেশে চলমান দমন ও নিপীড়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটাই সময়, দেশের বঞ্চিত ও নিপীড়িতদের দৃষ্টি দিয়ে ব্যর্থতাকে নিরীক্ষণ করা। এর চেয়ে আরও ভালো উপায় হলো, সহানুভূতি, প্রতিশ্রুতি, সাহসী পদক্ষেপ ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে শান্তি।’

গতকাল বুধবার জাতিগত নিধনও এর সমাধান প্রসঙ্গে ভার্চুয়াল টাউন হলে আলোচনা সভায় বারাক ওবামা বক্তৃতা করেন। তিনি মার্কিনিদের অনিশ্চয়তা ও কষ্টের দিকগুলো তুলে ধরেন। দাসত্বের ইতিহাস থেকে বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ পর্যন্ত কাঠামোগত সমস্যাগুলোকে তিনি কীভাবে দেখেন, তা ব্যাখ্যা করেন ওবামা। ডেমোক্রেট পার্টি মনোনীত সাবেক বিল ক্লিনটন গত সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের স্বপ্ন ছিল কোনো মার্কিনিকে তার গায়ের রঙ দিয়ে বিচার করা হবে না, যা আজ অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে।’ জনগণের শক্তি ও নৈতিক বিবেক সম্পন্ন মানুষকে অবশ্যই বর্ণ বৈষম্যমূলক পুলিশ, বিচার ব্যবস্থা, সাদা ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপোলিসতে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর থেকে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র।

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি