যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ফের নৃশংসতা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৩০, ৫ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৪:৫৯, ৫ জুন ২০২০
পুলিশের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে বৃদ্ধের মাথার নীচে জমে আছে রক্ত। ছবি: সংগৃহীত
হাঁটু দিয়ে গলা চেপে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার বিক্ষোভের মধ্যেই আবার যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ কর্তৃক নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছে। এবার নিউইয়র্কের বাফেলোতে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করতে দেখা গেল পুলিশকে। ধাক্কা মেরে ওই বৃদ্ধকে সিমেন্টের রাস্তায় ফেলে দেয় পুলিশ। তাতে পড়ে গিয়ে তাঁর কান থেকে রক্ত বেরুতে শুরু করে। এই ঘটনায়ও দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বিক্ষোভ দমনে বৃহস্পতিবার থেকে কার্ফু শুরু হয়েছে আমেরিকায়। তা সত্ত্বেও পুলিশি নৃশংসতা ও বর্ণ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। কার্ফু অগ্রাহ্য করেই রাস্তায় নামছেন হাজার হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার বিকেলেও বাফেলোর সিটি হলের সামনে বিক্ষোভ করেন একদল প্রতিবাদী মানুষ। সেখান থেকে তাঁদের হটাতে রাস্তায় নামে দাঙ্গা পুলিশ। এই বিক্ষোভ থেকে ৫ জনকে গ্রেফতারও করে তারা। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ যখন ফিরে যাচ্ছিল, সেই সময়ই এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে।
উক্ত ঘটনাটিরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পগে। তাতে দেখা যায়, সিমেন্টে বাঁধানো ফুটপাতের উপর দিয়ে এগিয়ে আসছে পুলিশবাহিনী। সেই সময় উল্টো দিক থেকে তাঁদের সামনে গিয়ে দাঁড়ান এক বৃদ্ধ। কথা বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁকে দেখেই তেড়ে আসেন মার্কিন দুই পুলিশকর্মী। তাদের মধ্যে একজন লাঠি হাতে ওই বৃদ্ধকে ধাক্কা মারেন। অন্যজন ধাক্কা মারেন হাত দিয়েই। তাতে টাল সামলাতে না পেরে রাস্তার উপর পড়ে যান ওই বৃদ্ধ। রাস্তায় সজোরে তাঁর মাথা ঠুকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে কান থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে।
মাথার নীচে জমাট বাঁধা রক্তের উপরই নিস্তেজ হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ। তাঁকে দেখতে ঝুঁকে পড়েন অভিযুক্তদের মধ্যে একজন। কিন্তু অন্যজন তাঁকে বাধা দেন। তা দেখে আশেপাশের লোকজন চেঁচামেচি শুরু করে দেন। রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় অবস্থা গুরুতর পর্যায়ে যাচ্ছে মনে করে অবিলম্বে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা উচিত বলে পুলিশকে জানান তারা। সেই মতো অ্যাম্বুল্যান্সে খবরও দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি এসে ওই বৃদ্ধকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি সামনে আসতেই গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। তাতে অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করে কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, সাসপেন্ড থাকাকালীন বেতনও পাবেন না তাঁরা।
এই ঘটনার নিন্দা করেছেন বাফেলোর মেয়র বায়রন ব্রাউন। তিনি বলেন, ভিডিওটি দেখে অত্যন্ত বিব্রত বোধ করছি। পুলিশ কমিশনার লকউডও গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত দুই অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন