‘দুই থেকে তিন মাসে করোনায় শীর্ষে উঠবে ভারত’
প্রকাশিত : ১৬:৩৯, ৭ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৬:৪৩, ৭ জুন ২০২০
আহমেদাবাদে স্বাস্থ্যকর্মীরা লকডাউনের (অবরুদ্ধ) সময় এক নারীর শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করছেন- এপি
করোনা মহামারীর কারণে বিপর্যস্ত বিশ্ব। দক্ষিণ এশিয়ায় কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ভারতের নাগরিকরা। দেশটিতে প্রায় তিন মাসের লকডাউন কার্যকর থাকার পরও সংক্রমণ না কমে বরং বেড়েই চলছে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে তা বিশ্বে শীর্ষে পৌঁছবে বলে আশঙ্কার কথা জানালেন দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)’র প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা’র।
রণদীপ বলেছেন, ‘এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ভারতে করোনা সংক্রমণের ঘটনা আরও বাড়তে চলেছে। আগামী দুই থেকে তিন মাসে তা শীর্ষে পৌঁছতে পারে।’ তবে জাতীয় স্তরের এ সংক্রমণ এখন পর্যন্ত গোষ্ঠী (কমিউনিটি লেভেলে) সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগেও এমনটি দাবি করেছিল সংস্থাটি। যদিও আগামী দিনে ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনার কথাও বলছেন রণদীপ। তিনি বলেন, ‘দেশের যে যে এলাকাগুলিকে হটস্পট বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই সব এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের যথেষ্টই আশঙ্কা রয়েছে।’
দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)’র প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া- টুইটারের সৌজন্যে
এ দিকে আজ রোববার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯৭১ জন। এক দিনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যায় এটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার। এতে আক্রান্তের পরিসংখ্যান সামনে আসার পর বিশ্বের করোনা আক্রান্ত দেশসমূহের তালিকায় আরও এক ধাপ উপরে উঠে এল ভারত। এখন ভারতের স্থান পঞ্চম। ভারতের চেয়ে বেশি কোভিড আক্রান্ত রয়েছে মোট চারটি দেশে, আমেরিকা, ব্রাজিল, রাশিয়া এবং ব্রিটেন। রোববারের এই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে স্পেনেরও উপরে উঠে এল ভারত।
ভিন রাজ্যের করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত শয্যা হাসপাতালে নেই এমন কথা বলে দিল্লির সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। তবে তাকে সমর্থন করেননি রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই অনৈতিক। কেউ জোর করে দেশের কোনও রাজ্যের সীমানা আচমকা বন্ধ করে দিতে পারেন না।’
আক্রান্তের পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা নিয়েও দেশটিতে উদ্বেগ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৮৭ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬,৯২৯। মৃতের তালিকায় এখনও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ২,৬৬৯ জনের। এরপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে গুজরাত (১,২১৯), দিল্লি (৭৬১), মধ্যপ্রদেশ (৩৯৯), পশ্চিমবঙ্গ (৩৮৩), উত্তরপ্রদেশ (২৫৭), তামিলনাড়ু (২৫১), রাজস্থান (২৩১) এবং তেলঙ্গানা (১২৩)।
এমএস/
আরও পড়ুন