ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ভারতে করোনায় ভুক্তভোগী আড়াই লাখ মানুষ, খুলেছে সবকিছু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৯, ৮ জুন ২০২০

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ভারতে যেন আরও বেশি করে শক্তি বৃদ্ধি করে জাঁকিয়ে বসছে। যাতে ইতিমধ্যে ভুগছে দেশটির আড়াই লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৭ হাজারের বেশি ভারতীয়। তারপরও খুলে দেয়া হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস এবং ধর্মীয় উপাসনালয়। 

সোমবার দেশটির কেন্দ্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫৬ হাজার ৬১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার শিকার ৯ হাজার ৯৮৩ জন। এই নিয়ে টানা ছয়দিন একদিনে ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেন। সংক্রমিতের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে এখন ভারত। 

অপরদিকে, প্রাণ গেছে আরও ২০৬ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ভুগতে থাকা ৭ হাজার ১৩৫ জনের মৃত্যু হলো। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সোয়া এক লাখ মানুষ।

এদিকে গত প্রায় ২ মাস ধরে লকডাউন চালানোর পরেও করোনা সংক্রমণ রোখা যায়নি। আজ থেকেই তাই বেশ কয়েকটি বিষয়ে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রিয় সরকার। চলমান করোনায় সংকটাবস্থায়ও খুলে দেয়া হয়েছে শপিং মল, রেস্তোরাঁ, ধর্মীয় স্থানগুলো। 

ভারতের কনটেইনমেন্ট জোনগুলি ছাড়া মোটামুটি গোটা দেশই এখন হাঁটছে আনলক-১ এর মধ্যেদিয়ে। এই পরিকল্পনার অধীনে খুলে গেছে দেশের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস, ফিরছে কর্মসংস্কৃতি। 

ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনায় মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। শুধু এ রাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার  ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণ গেছে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের। মহারাষ্ট্রের মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি করোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে মুম্বাইয়ে। 

এরপরই রয়েছে তামিলনাড়ু এবং দিল্লি। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশের মোট সংক্রমণের প্রায় ৭০ শতাংশ এবং মোট মৃত্যুর প্রায় ৭৮ শতাংশই রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট এবং রাজস্থানে। 

এই ৫টি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ, যেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের কাছাকাছি।

এআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি