ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সিঙ্গাপুরে করোনাক্রান্তদের অর্ধেকেই উপসর্গহীন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৩৯, ৮ জুন ২০২০ | আপডেট: ২১:৪৪, ৮ জুন ২০২০

সিঙ্গাপুরের আরচার্ড রোডে মাস্ক পরে বের হয়েছেন নাগরিকরা- দ্যা জাকার্তা পোস্ট

সিঙ্গাপুরের আরচার্ড রোডে মাস্ক পরে বের হয়েছেন নাগরিকরা- দ্যা জাকার্তা পোস্ট

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা গেলেও এখন প্রায়ই এমন কোন উপসর্গ দেখা যায় না। এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে এখন যারা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অর্ধেকের মধ্যে কোন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না বলে দেশটির সরকারী ভাইরাস টাস্কফোর্সের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স’র। 

দেশটির টাস্কফোর্সের সহ-প্রধান লরেন্স ওং বলেন, ‘এটি উদঘাটন হওয়াতেই সরকার লকডাউনের বিধিনিষেধ খুবই ধীরে শিথিল করছে। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, প্রতিটি লক্ষণযুক্ত শনাক্তের বিপরীতে কমপক্ষে একটি উপসর্গহীন কেস আছে।’ প্রায় দুই মাসের লকডাউন শেষে গত সপ্তাহে স্কুল এবং কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য আবার চালু হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

জানা যায়, সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের ডরমেটরিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেশি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩৮ হাজার করোনায় আক্রান্ত হয়য়েছেন। 

গত দুই সপ্তাহে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন ৬ হাজার ২৯৪ জন, যাদের বেশিরভাগই অভিবাসী শ্রমিক। বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, উপসর্গ দেখা না দিলেও আক্রান্ত কেউ ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে দেখে মহামারীটি নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জের।

লরেন্স জানান, অ্যাসিম্পটমেটিক আক্রান্তদের ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ কম কারণ তারা কাশি বা হাঁচি দেন না। তবে সিঙ্গাপুরে অ্যাসিম্পটমেটিক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, বিশেষ করে যেসব আক্রান্তরা কাছাকাছি বসবাস করে।

তিনি জানান, অ্যাসিম্পটমেটিক ক্যারিয়ার পাওয়া যাওয়ায় সরকার ক্রমান্বয়ে বিধিনিষেধ শিথিলের পরিকল্পনা করেছে। ফলে অনেককেই এখনও বাড়িতে থেকে কাজ করতে হচ্ছে এবং তারা কেবল তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিশতে পারছে।

এমএস/এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি