ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

করোনাকে জয় করল বিশ্বের ৯টি দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫১, ৮ জুন ২০২০ | আপডেট: ০০:০৫, ৯ জুন ২০২০

৯৭ হাজার ৯৬ জনসংখ্যার দেশ সিসিলিতে মাত্র ১১ জন করোনাক্রান্ত হয়েছিলেন- সংগৃহীত

৯৭ হাজার ৯৬ জনসংখ্যার দেশ সিসিলিতে মাত্র ১১ জন করোনাক্রান্ত হয়েছিলেন- সংগৃহীত

করোনাকে পরাজিত করেছে নিউজিল্যান্ড। দেশটিতে এখন করোনা শূন্য। আক্রান্তরা চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছেন। স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্দিন। গত ২২ মে‘র পর নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি দেশটিতে। শুধু নিউজিল্যান্ড নয়। আরও ৮টি দেশ করোনাকে জয় করেছে। খবর জিনিউজ 

মন্টিনিগ্রো: ইউরোপের বুকে বসনিয়া ও সার্বিয়ার সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মন্টিনিগ্রো। গত ১৭ মার্চ প্রথম নোভেল করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তারপর লকডাউনের পথেই হাঁটে ৬ লক্ষ ২২ হাজার ৩৫৯ জনের দেশটি। এরপরই ৩২৪ জনেই আটকে যায় আক্রান্তের সংখ্যা। গেল ২৪ মে নিজেদের করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে দেশটি।

ইরিত্রিয়া: আফ্রিকার একেবারে পূর্ব দিকে ৬০ লাখ মানুষে দেশ ইরিত্রিয়া। গত ২১ মার্চ নরওয়ে ফেরত এক ব্যক্তির দেহে প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ৯টি জাতীয় ভাষার দেশটি। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ৩৯ জন। ১৫ মে করোনা মুক্তি লাভ করে এই দেশ।

পাপুয়া নিউ গিনি: ওশিয়ানিয়ার ৮০ লাখ ৯০ হাজার জনসংখ্যার দেশটিতে গত ২০ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। তারপর জারি হয় রাত্রিকালীন কার্ফু। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্দোনেশিয়ার সীমানা। এশিয়া থেকে যাত্রী আসা একেবারে নিষিদ্ধ করে দেয় দেশটি। মাত্র ৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এ দেশে। গণপরিবহন ও জমায়েত বন্ধ করতেই ৪ মে করোনা মুক্ত হয়েছে এই দেশ।  

সিসিলি: এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরাধীন ছিল সিসিলি। ১৯৭৬ সালের ২৯ জুন স্বাধীন হয় তারা। রাজধানীর নাম ভিক্টোরিয়া। গত ১৪ মার্চ প্রথম দুজনের দেহে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে এই দেশে। একটুও সময় নষ্ট করেনি এই দেশ। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা হয় যুদ্ধ জাহাজ। বন্ধ করা হয় চীন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরানের সঙ্গে সব যাতায়াত। ৯৭ হাজার ৯৬ জনসংখ্যার এই দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ১১ জন। সকলেই সুস্থ। করোনা মুক্ত এই দেশ।

হলি সি: ‘রোমান কোর্ট’ দ্বারা পরিচালিত হয় দেশ হলি সি। করোনা ধরা পড়ার পর এই দেশে সব ধরনের পর্যটন বন্ধ করা হয়। মাত্র ১২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন এই দেশে। ৬ জুন নিজেদের করোনা মুক্ত বলে দাবী করে এই দেশ।

সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস: ক্যারিবিয়ান দেশ সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। জনসংখ্যা মাত্র ৫২ হাজার ৪৪১। এখানে প্রথম করোনায় আক্রান্তের খবর মেলে ২৪ মার্চ। তারপর বন্ধ করা হয় এয়ারপোর্ট, স্কুল, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দোকান। জারি করা হয় কার্ফু। ফল মিলেছে দ্রুত। মাত্র ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। গত ১৯ মে নিজেদের করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে এই দেশ।

ফিজি: ওশিয়ানিয়ার এ আইল্যান্ডেও এক সময় পরাধীন ছিল যুক্তরাজ্যের কাছে। এই দেশে ফিজি হিন্দি ভাষার প্রচলন রয়েছে। গত ১৯ মার্চ করোনা আক্রান্তের খবর মেলে। তারপরই প্রধানমন্ত্রী ফ্রেঙ্ক বেইনিমারামা বন্ধ করে দেন বিমান পরিবহন। বাইরে থেকে আগত সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয় ১৫ দিনের কোয়ারেন্টিন। ১৮ জন করোনা রোগীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই দেশে। ২০ এপ্রিল নিজেদের করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে ফিজি।  

পূর্ব তিমুর: এশিয়ার এ দেশটির রাজধানী দিলি। এখানে প্রথম করোনা আক্রান্তর হদিশ মেলে ২১ মার্চ। কিন্তু দেশের নয় এমন মানুষ যারা চীন ভ্রমণ করেছেন সম্প্রতি তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে। বন্ধ করা হয় স্কুল, জমায়েত। অন্য দেশ থেকে আসা সকলের জন্য ঠিক করা হয় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন। অবশেষে ১৫ মে সুস্থ হয়ে ওঠেন দেশের ২৪ তম শেষ করোনা রোগী। করোনা মুক্ত হয় পূর্ব তিমুর।

এমএস/এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি