এবার কৃষ্ণাঙ্গ ‘হত্যাকারী’ বেলজিয়ান রাজার মূর্তি উচ্ছেদ
প্রকাশিত : ০৯:৫৪, ১০ জুন ২০২০
কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ চলছে বিশ্বব্যাপী। উক্ত হত্যার ঘটনাটি জাগিয়ে তুলেছে বিশ্ব মানবতাকে। বিংশ শতাব্দীর এই পৃথিবীতে বর্ণবৈষাম্যের কোন স্থান থাকতে পারে না। তাই ইতিপূর্বের এ রকম ঘটনায় জড়িয়ে আছে এরকম স্মৃতিচিহ্নগুলো বিশ্ব থেকে মুছে ফেলা আবশ্যক মনে করে লাখো কৃষ্ণাঙ্গ হত্যাকারী হিসেবে পরিচিত ‘কুখ্যাত’ বেলজিয়ান রাজা লিওপোল্ড দ্বিতীয়'র মূর্তি উচ্ছেদ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার বেলজিয়ামের অ্যান্টয়ার্প শহরে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। উক্ত শহরে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণাঙ্গ হত্যাকারী রাজা লিওপোল্ডের মূর্তিটি ক্রেন দিয়ে বেদী থেকে নামিয়ে ফেলে বিক্ষোভকারীরা।
উনিশ শতকের বেলজিয়ামের রাজা লিওপোল্ড দ্বিতীয়’র অধীনে ছিল আফ্রিকার কঙ্গো অঞ্চল। তার আমলে সেখানে দশ লাখেরও বেশি মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। যেটি এখন ডিআর কঙ্গোতে পড়েছে।
কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠকেরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন, রাজা লিওপোল্ড দ্বিতীয়'র এই মূর্তি যাতে অপসারণ করা হয়।
অন্যদিকে, গত রবিবার ব্রিটেনে বিক্ষোভের সময়ে ব্রিস্টলে দাস ব্যবসায়ী অ্যাডওয়ার্ড কোলস্টনের মূর্তি ভেঙে পানিতে ফেলে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে নারী ও শিশুসহ ৮০ হাজার মানুষকে ব্রিটেনে এনে কৃতদাস হিসেবে বিক্রি করতো এই কোলস্টোন। ১৮৯৫ সাল থেকে অ্যাডওয়ার্ড কোলস্টোনের মূর্তিটি ব্রিস্টল শহরে দাঁড়িয়েছিল। এ মূর্তিটি ভাঙার জন্য একটি পিটিশনে ১১ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছে বলে জানা যায়।
গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিন। তাকে সহায়তা দেয় আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তা। এই ঘটনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের সেই ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপেও।
এএইচ/
আরও পড়ুন