‘আমরা ভুল পথে হাঁটছি’ মার্কিন করোনা টিমের প্রধান
প্রকাশিত : ১২:১০, ১৪ জুন ২০২০ | আপডেট: ১২:১০, ১৪ জুন ২০২০
মার্কিন করোনা টিমের প্রধান ডা. অ্যান্টনি ফাউচি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লকডাউন জারি রাখার বিপক্ষে। তাই অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হয়েছে। এর পরেই হাসপাতালগুলোয় ভিড় বাড়ছে। তাই দেখে সতর্ক করলেন মার্কিন করোনা টিমের প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘যখন দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে রোগী ভর্তি এত বাড়ছে, সেটা নিশ্চয়ই বিপদের চিহ্ন। এটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আমরা ভুল পথে হাঁটছি।’
আজ দেশটির শীর্ষ এপিডেমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচি বললেন, ‘‘এখনই সামলানো না হলে, কিছু প্রদেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।’’
ওরেগনের গভর্নর কেট ব্রাউন জানান, দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে দেখার পরেই ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। উটার রিপাবলিকান গভর্নর গ্যারি হার্বার্টও নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আনলক’ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে, অফিস-ব্যবসা-দোকানপাট খুলে দেওয়ার বিষয়ে সব চেয়ে এগিয়ে ছিল টেক্সাস। এক প্রশ্নের জবাবে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট বলেন, ‘‘এখনও অফিস খোলাই থাকবে। আমাদের হাসপাতালে অনেক বেড রয়েছে। কেউ অসুস্থ হলেই জায়গা পেয়ে যাবেন।’’
আমেরিকায় আজ পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ লাখেরও বেশি।
আজ ডাব্লিউএইচও জানাল, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অবস্থা সব থেকে খারাপ। সংক্রমণের নিরিখে প্রথম দশে থাকা দেশগুলোর তালিকার চারটিই এই দুই মহাদেশের। সবাইকে ছাপিয়ে অনেক এগিয়ে আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিল আর এক হটস্পট। ৮ লাখের উপরে সংক্রমণ। মারা গেছে ৪২ হাজারের কাছাকাছি। রাশিয়া তৃতীয় স্থানেই রয়েছে। পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।
চীনের উহান করোনা-সংক্রমণের উৎসস্থল হলেও রাজধানী বেইজিং সেভাবে আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু সেখানেই এবার মাংসের বাজারে মিলল ভাইরাস। বেইজিংয়ের বেশ কিছু স্থান লকডাউন করা হয়েছে। বাজারের কাছাকাছি থাকা ১১টি আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাস। যার মধ্যে ৩৬ জনই স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত। তারা বেইজিংয়ের বাসিন্দা। স্থানীয় সংক্রমিত হওয়া আরও দু’জন উত্তরপূর্বের লিওনিং প্রদেশের। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, তারাও বেইজিংয়ে আক্রান্তদের সংস্পর্শে ছিলেন।
এর আগে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করা হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে। তখন এই সংস্থাটি বলেছিল, ‘করোনার দ্বিতীয় ধাপ আরও ভয়াবহ হতে পারে।’
এএইচ/
আরও পড়ুন