পুলিশ সংস্কারে নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের স্বাক্ষর
প্রকাশিত : ১১:৩৬, ১৭ জুন ২০২০ | আপডেট: ১১:৩৭, ১৭ জুন ২০২০
টানা বিক্ষোভের মুখে অবশেষে পুলিশি কর্মকাণ্ডে সংস্কারের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি পুলিশের তহবিল বন্ধ বা বিলুপ্তির দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর দেশটির পুলিশ বিভাগে সংস্কারের জোর দাবি উঠেছিল।
এর আগে গত সোমবার মার্কিন পুলিশ বিভাগে সংস্কারে নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প স্বাক্ষর করবেন বলে জানা গিয়েছিল। ওইদিন ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সংস্কার মূলত পুলিশ কর্মকর্তাদের সহিংসতা ঠেকাতে দক্ষতা অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যে করা হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা জানিয়েছে, এই সংস্কারের মধ্যে থাকছে পুলিশের বিচক্ষণতা বাড়ানোর জন্য বরাদ্দ বা অনুদান বৃদ্ধি এবং কো-রেসপন্ডেন্ট সার্ভিস অর্থাৎ সমাজকর্মীদের সঙ্গে জোট করে পুলিশ যেন স্থানীয় সম্প্রদায়ের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করার দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এর মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন বা মাদক সমস্যার সমাধান করার বিষয়ও থাকবে। এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের একটি ডাটাবেজও তৈরি করা হবে।
ভয়েস অব আমেরিকা আরও জানিয়েছে, দেশটির কংগ্রেসে পুলিশ বিভাগে আরও বড় ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব রয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশি সংস্কার নিয়ে সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট চেম্বারে পুলিশ বিভাগের সংস্কার বিষয়ক একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে, যাতে চোকহোল্ড বা পুলিশের শ্বাসরোধ করার বিষয় এবং শরীরের ক্যামেরার ব্যবহার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কারের জন্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব।
সংখ্যালঘিষ্ঠ ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার বলেছেন, রিপাবলিকানদের কোনো উদ্যোগই বেশি দূর আগায় না। কিন্তু এখনই সময় এই সংস্কারের বিষয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া এবং পরিবর্তন করা।
ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে পুলিশের সংস্কার নিয়ে চলতি মাসেই যেকোনো সময় শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে। যাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মামলা করা আরও সহজ হয়।
তবে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে হয়েছে, সরকারী কর্মীদের দায়িত্ব পালনে তাদের বিরুদ্ধে মামলার সীমাবদ্ধতার যে আইন রয়েছে তা বন্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মত দেবেন না।
গত ২৫ মে মিনেসোটায় পুলিশ হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয় তা থামাতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ, গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের সংস্কার নিয়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন ওঠে। ফ্লয়েডের ঘটনার রেশ যেতে না যেতে শুক্রবার আটলান্টায় রেয়শার্ড ব্রুকস নামের এক আফ্রিকান আমেরিকান পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
এসএ/
আরও পড়ুন