ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হতে জিনপিংয়ের সাহায্য চেয়েছিলেন ট্রাম্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৪, ১৮ জুন ২০২০

Ekushey Television Ltd.

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় জয়ের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাহায্য পেতে চেষ্টা করেছিলেন। এই তথ্য নিজের লেখা বইতে প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন।

নতুন এই বইটিতে বোল্টন দাবি করেছেন, ট্রাম্প চেয়েছিলেন চীন মার্কিন কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য কিনুক। জাপানের ওসাকায় গত বছরের জুনে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প এবং শির মধ্যে হওয়া এক বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়।

'দ্য রুম হোয়্যার ইট হ্যাপেনড' নামের বইটি ২৩শে জুন প্রকাশ হবার কথা রয়েছে। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজ বলেছিল বইটিতে 'টপ সিক্রেট' তথ্য এবং বর্ণনা রয়েছে, যা অবশ্যই বাদ দিতে হবে। তবে বোল্টন সে সময় তা নাকচ করে দিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারের ক্ষেত্রে যেসব প্রশ্ন উঠেছিল, তাও এই বইটিতে স্থান পেয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত নতুন এই বইটির সারসংক্ষেপে বোল্টন দাবি করেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছিলেন যে কিছু মার্কিন সমালোচক চান চীনের সঙ্গে যাতে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়। এ অভিযোগে ট্রাম্প ভেবেছিলেন হয়তো ডেমোক্রেটিক প্রতিপক্ষের কথা বলছেন শি জিনপিং।

বোল্টন বলেছেন, “এরপর বিস্ময়করভাবেই ট্রাম্প আলোচনা ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে ঘুরিয়ে দেন। চীনের অর্থনৈতিক সামর্থ্যের কথা উল্লেখ করে নির্বাচনে জেতার জন্য শি জিনপিংয়ের সাহায্য চান ট্রাম্প। এ সময়ে কৃষকদের গুরুত্বের ওপর এবং দেশটি থেকে চীনের সয়াবিন ও গম ক্রয়ে বর্ধিত হারের ওপর বার বার জোর দিচ্ছিলেন ট্রাম্প।”

বইটিতে বোল্টন উল্লেখ করেন, এর পরই মি. শি যখন বাণিজ্য আলোচনায় কৃষি উৎপাদনের ওপর জোর দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তখন ট্রাম্প তাকে 'চীনের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নেতা' বলে মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে বোল্টনের বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়ে মার্কিন ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট লাইথিজার বলেছেন, “চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওই আলোচনায় দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জেতার ব্যাপারে কোন আলোচনা হয়নি।”

২০১৮ সালের এপ্রিলে হোয়াইট হাউজে যোগ দেন জন বোল্টন। একই বছরের সেপ্টেম্বরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তখন ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টের সাথে মতানৈক্য হবার কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি