ভারতে মৃত্যু ১৪ হাজার, আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ
প্রকাশিত : ১৪:২৯, ২৩ জুন ২০২০

সময়ের সাথে এখনও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভারতে করোনাক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউন শিথিলের পর থেকে প্রতিদিনিই প্রায় রেকর্ড সংক্রমণ ঘটছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে। ইতিমধ্যেই যার সংখ্যা সাড়ে ৪ লাখ ছুঁই ছুঁই। আর করোনার থাবায় এখন পর্যন্ত গত হয়েছেন ১৪ হাজারেরও বেশি ভারতীয়। তবে, সুস্থতার হার ৫৬ শতাংশেরও বেশি।
দেশটির কেন্দ্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৯৩৩ জন মানুষে করোনার শিকার হয়েছেন। এতে করে সংক্রমণের পরিমাণ বেড়ে ৪ লাখ ৪০ হাজার ২১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৩১২ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ১১ জনে ঠেকেছে। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৯ জন।
সোমবার রাজধানী দিল্লি রেকর্ড সংক্রমণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের তালিকায় উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যদিও বলছেন, ‘জাতীয় রাজধানীতে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে। অন্যদিকে গোয়ায় এই মরণরোগ থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর মিলেছে।’
সোমবার মহারাষ্ট্রের আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫ হাজার ৭৯৬ জনে পৌঁছেছে। মুম্বইয়েই আক্রান্ত ৬৭ হাজার ৫৮৬ এবং প্রতিবেশী থানেতে আক্রান্ত ২৫ হাজার ৩৯০ জন। রাজ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়ে ৬ হাজার ২৮৩ জনে পৌঁছেছে। মুম্বইয়ে প্রাণহানি এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৩৭ জনের।
দিল্লি সরকার গতরাতে ঘোষিত নতুন বিধি অনুসারে জানিয়েছে, দিল্লির মানুষজন যারা ল্যাব-ভিত্তিক সোয়াব টেস্টের মাধ্যমে করোনা পজিটিভ হিসেবে ধরা পড়ছেন তাদের প্রথমে কোনও একটি সরকারি কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। যেখানে মেডিকেল অফিসার জানাবেন যে তারা হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার যোগ্য কিনা। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে কেউ পজিটিভ প্রমাণিত হলে তার পরীক্ষার কেন্দ্র বা আশেপাশের কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে ঘটনাস্থলেই মূল্যায়ন করা হবে।
রাজধানীতে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে, আক্রান্ত ৬২ হাজার ৬৫৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭১০ জনের সংক্রমণে তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যার তীব্রতা নতুন মাত্রা ছুঁয়েছে। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৬২ হাজার ৮৭ জন করোনায় আক্রান্ত। চেন্নাইয়ের পরে বিস্তার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার অংশ হিসাবে ২৪ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে মাদুরাই শহর এবং আশেপাশের এলাকায় লকডাউন ঘোষণা হবে।
এদিকে কর্ণাটক ও আরেক শহর বেঙ্গালুরুতে গত কয়েকদিনে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে, রাজ্যের মোট সংক্রমণের সংখ্যা বর্তমানে ৯ হাজার ৩৯৯। এ পর্যন্ত সেখানে ভাইরাসটিতে ১৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট ওড়িশাকে সাতদিনের রথযাত্রা উৎসবকে সীমিতভাবে উদযাপনের অনুমতি দেওয়ার একদিনের পরেই ঐতিহাসিক বদলের সাক্ষী রইল এই ধর্মীয় উৎসব। এই প্রথম ভক্তবিহীন জগন্নাথ মন্দিরে বিপুল সংখ্যক পুরোহিত পুরীর বিখ্যাত রথযাত্রার আয়োজন করলেন।
ভারতে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়া কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩১০ জনে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য সরকারের সূত্র জানিয়েছে, কেরলে পজিটিভ ক্ষেত্রে ৮৯.৫ শতাংশই বিদেশ থেকে ফিরে আসা মানুষ রয়েছেন। কেরল থেকে আসার পরে সোমবার তামিলনাড়ুতে ১৬ জনের দেহে এই ভাইরাস মিলেছে।
এআই//
আরও পড়ুন