ঢাকা, শনিবার   ১২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ডাক্তাররা ছুঁয়েও দেখল না, বাবার কোলেই মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৯, ২৯ জুন ২০২০

হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে প্রেমচাঁদ ও তাঁর স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে প্রেমচাঁদ ও তাঁর স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

Ekushey Television Ltd.

হাসপাতালের সামনেই শুয়ে হাউহাউ করে কাঁদছিলেন প্রেমচাঁদ। কোলে নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে ছিল তাঁর এক বছরের সন্তানটি। পাশে বসে তাঁর স্ত্রী আশা দেবীও সমানে কেঁদে যাচ্ছিলেন। রবিবার বিকেলে এমনই এক দৃশ্য দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের কনৌজে।

কয়েক দিন ধরে শিশুটির জ্বর। গলাও ফুলে উঠেছিল। ছেলেকে নিয়ে প্রেমচাঁদ ও তাঁর স্ত্রী সোজা ছুটে গিয়েছিলেন কনৌজের সরকারি হাসপাতালে। অভিযোগ, চিকিত্সকরা শিশুটিকে ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখেননি, উল্টে প্রেমচাঁদকে বলেছেন, এখানে কিছু করা সম্ভব নয়। কানপুরের হাসপাতালে তাঁরা যেন শিশুটিকে নিয়ে যান।

যদিও চিকিত্সকরা এবং হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রেমচাঁদের এই অভিযোগকে সরাসরি নস্যাত্ করেছেন। উল্টে হাসপাতালের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ওই দিন বিকেল সোয়া ৪টে নাগাদ শিশুটিকে নিয়ে আসেন ওই দম্পতি। তার অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটিকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিত্সার পর খবর দেওয়া হয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে। কিন্তু তত ক্ষণে আধঘণ্টা কেটে গিয়েছিল। এই সময়ের মধ্যেই মৃত্যু হয় শিশুটির।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও দাবি করেন, শিশুটিকে বাঁচানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছিল। এখানে গাফিলতির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু প্রেমচাঁদের অভিযোগ, “প্রথমে চিকিত্সকরা ছেলেকে ছুঁয়ে দেখতেই চাননি। হাসপাতালেই বেশ কিছু লোক ঘটনাটির ভিডিয়ো করতে থাকায় চিকিত্সকরা ছেলেকে পরীক্ষা করা শুরু করেন। আমাদের আধঘণ্টা অপেক্ষা করানো হয়েছিল। তার পর ছেলেকে কানপুরে নিয়ে যেতে বলেন চিকিত্সকরা।" এর পরই প্রেমচাঁদ বলেন, “আমি গরিব মানুষ। টাকা নেই। কীই বা করতে পারতাম!”  

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি