কেনিয়ায় যুবতীদের গর্ভধারণ সংকটের রূপ নিচ্ছে
প্রকাশিত : ০৯:৩৩, ৪ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১০:২৪, ৪ জুলাই ২০২০
সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলছেন গর্ভবতী এক মেয়ের মা- ভয়েস অব আমেরিকা
পূর্ব আফিকার দেশ কেনিয়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অন্যান্য দেশে মতো যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তবে এর মধ্যে পৌনে চার কোটি জনসংখ্যা ও ৫ লাখ ৮০,৩৬৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ দেশটি অন্য এক মহা সঙ্কটের মুখে পড়েছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ যুবতী মেয়েদের ব্যাপক গর্ভধারণের এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ৩ মাসে ১,৫২,০০০ যুবতী গর্ভবতী হয়েছে, যা ৩মাসের হিসাবে ৪০% হারে বেশি। খবর ভয়েস অব আমেরিকা ও বিবিসি’র।
ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনের বলা হয়, ১ লাখ ৫২ হাজার টিনএজ মেয়েরা (১৩ থেকে ১৯ বছর বয়স) গর্ভবতী হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের পরিবারও বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে। তাদের মায়েদের সঙ্গে কথা বললে তারা মেয়েদের বিয়ের বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বলে জানান। তবে এসব গর্ভবতী মেয়েদের এ অবস্থায় বিয়ে না দিতে পরামর্শ দিচ্ছে দেশটির বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা। এসময় মেয়েদেরকে স্কুলেও যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্লান ইন্টারন্যাশনাল ইন কেনিয়ার পরিচালক কেইট মাইনা ভরলি বলেছেন, ‘মেয়েদের ক্ষমতায়নে কেনিয়ায় যে সফলতা অর্জিত হয়েছিল, করোনা মহামারী তা, ম্লান করে দিয়েছে। তবে মেয়েদের সঙ্গে যা হয়েছে তা লিঙ্গ বৈষম্য ছাড়া কিছুই নয়।’
অন্যদিকে দেশটিতে শিশু মৃত্যুর হারও কমে এসেছে। গত ১৫ বছর আগেও নবজাতক মৃত্যুর হার ছিল হাজারে ৭৪ জন। সেটি কমে হাজারে ৫২ জনে নেমে এসেছে ঠিকই, তবে এটি যথেষ্ট নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের গবেষণায় এমন তথ্য উঠে আসে। দেশটিতে এই নবজাতক মৃত্যুর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেখানকার প্রচলিত একটি প্রথাকে। যেখানে বাড়ির ভেতরে ধাত্রীর মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে হয়। নারীদেরকে এমন গৎবাঁধা বিশ্বাস থেকে বের করে তাদেরকে সচেতন করে তুলতে দেশটির বেশিরভাগ হাসপাতালে চালু করা হয়েছে বিশেষ প্রসূতি ইউনিট যা সেখানকার মায়েদের চিন্তাধারা বদলে দিয়েছে।
এমএস/
আরও পড়ুন