সুয়েজ খালের প্রয়োজনীয়তা নষ্ট করবে চবাহার বন্দর: দাবি ইরানের
প্রকাশিত : ০৯:৪২, ৬ জুলাই ২০২০
চবাহার সমুদ্রবন্দর- বেল্ট অ্যান্ড রোড নিউজ
ইরানে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় চবাহার সমুদ্রবন্দর শীঘ্রই ইউরোপের সঙ্গে এশিয়ার বাণিজ্যিক রুট হিসেবে সুয়েজ খালের প্রয়োজনীয়তা ম্লান করে দেবে বলে মন্তব্য করেছে তেহরান। ইরানের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর চবাহারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুররহিম কুর্দি গতকাল রোববার এমন মন্তব্য করেন। খবর পার্স টুডে’র।
তিনি বলেন, ‘জার্মানির হামবুর্গ থেকে রাশিয়া ও ইরান হয়ে ভারতের মুম্বাই পৌঁছাতে সময় লাগে ঐতিহ্যবাহী সুয়েজ রুটের অর্ধেকেরও কম। ভারত থেকে ব্যবসায়িক পণ্য চবাহার বন্দর হয়ে জার্মানিতে পৌঁছাতে সময় লাগে ১৪ থেকে ১৬ দিন। অথচ সুয়েজ খাল হয়ে বড় জাহাজে করে এই পণ্য ইউরোপে পৌঁছাতে সময় লাগে ৩৮ দিন।’
চবাহার সমুদ্রবন্দরের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে এটির উন্নয়নে ইরান বিপুল পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের যে কোনো দেশ ও কোম্পানিকে তাদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য এই বন্দরে পুঁজি বিনিয়োগের সুযোগ অবারিত করে দিয়েছে তেহরান।
ইরানের পর এখন পর্যন্ত ভারত এই বন্দরে সবচেয়ে বেশি পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। আফগানস্তানসহ মধ্য এশিয়ার ভূমিবেষ্টিত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন করতে এই সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে চায় ভারত।
এমএস/
আরও পড়ুন