ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ভারতে আবারও রেকর্ড শনাক্ত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০২, ১০ জুলাই ২০২০

ভারতে আবারও সর্বোচ্চ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে ৮ লাখ ছুঁতে চলেছে। এর মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেও, না ফেরার দেশে সাড়ে ২১ হাজারের বেশি ভারতীয়। 

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ হাজার ৫০৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। একদিনে আক্রান্তের নিরিখে যা সর্বোচ্চ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৮০২ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ৬০ শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)। 
 
একইসময়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৪৭৫ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৬০৪ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৪ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। 

এদিকে একে তো মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণই নেই, তার মধ্যে আবার কোভিড- ১৯ এর চিকিৎসায় কার্যকরি ভূমিকা নেওয়া রেমডিসিভির এবং টোকিলিজুমাবের মতো ওষুধ সেভাবে মিলছে না। এমন অবস্থায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘাটতি মেটাতে তারা সবরকম চেষ্টা করছে। 

এদিকে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৬ হাজার ৮৭৫ জন। এতে করে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৫৯৯ জনে।

তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৮১ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সংক্রমণের বিচারে মহারাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় স্থানে এই রাজ্য। রাজধানী চেন্নাইয়েই তামিলনাড়ুর মোট সংক্রমণের ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ রোগী। তবে চেন্নাইয়ের নতুন করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কমেছে। অন্যদিকে মাদুরাইয়ে গত ১৬ দিনে কোভিড -১৯ সংক্রমণ পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, উত্তরপ্রদেশে গতরাত ১০টা থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত ফের কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছে। সেরাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ৩৬২ জনের বেশি মানুষর করোনার শিহার হয়েছেন। তবে ২১ হাজারের বেশি রোগী বেঁচে ফিরেছেন। সেখানে মোট প্রাণহানি ঘটেছে ৮৬২ জনের। 

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। 

তবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়লেও, হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও স্বস্তি দিচ্ছে ভারতবাসীকে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার ২৫৯ জন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ১৩৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৪ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। যেখানে বেঁচে ফেরার হার ৬২ দশমিক ৪২ শতাংশ।

এআই/এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি