ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

প্যাংগং থেকে সরেনি চীনা সেনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪৮, ১৩ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৪:৫২, ১৩ জুলাই ২০২০

(ছবি-এএফপি)

(ছবি-এএফপি)

লাদাখ সীমান্তে ফিঙ্গার ৪ এলাকা থেকে আরও কিছু সেনা সরিয়ে নিয়েছে চীন। প্যাংগং হ্রদ থেকে তাদের কিছু নৌকাও সরে গিয়েছে। তবে প্যাংগং এলাকায় এখনও চীনা সেনার আংশিক উপস্থিতি রয়েছে বলে গত শনিবার ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্ডিয়ান এ্যক্সপ্রেস ও ওয়ান ইন্ডিয়া’র।

সেনাবাহিনীর এক পদস্থ কর্তা আজ সোমবার জানান, ‘ফিঙ্গার ৪-এর সংলগ্ন শৈলশিরায় চীনা সেনা এখনও মজুত। চীনা কাঠামো, তাঁবু, ছাউনি  রয়েছে। গত ১০ জুলাই উপগ্রহচিত্রেও সে সব দেখা যায়। তবে উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায় নতুন করে কোনও কাঠামো আর ঐ অঞ্চলে তৈরি হয়নি। সেনা মোতায়েনের বহরও আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। শনিবার সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, ফিঙ্গার ৪ এবং প্যাংগং থেকে চীন আরও এক দফা সেনা সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু সেনা সূত্রের খবর, সার্বিকভাবে ফিঙ্গার-৪ চীনা সেনামুক্ত হয়ে গিয়েছে, এমনটা বলা যাচ্ছে না।’ 

অন্যদিকে গালওয়ান উপত্যকায় দুই পক্ষ যে শর্তে সেনাদের পিছিয়েছে তাতে ১ কিলোমিটার অঞ্চল চীনের দখলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তেমনই হটস্প্রিং এবং প্যাংগং এলাকা থেকেও চীনের সেনা সরানোর শর্ত হিসেবে কিছু জমি ভারত খোয়াতে চলেছে কিনা, সেই আশঙ্কার কথাও উঠছে নানা মহলে। তবে সেনা কর্তারা আশা করছেন, ‘কমান্ডার পর্যায়ে পরবর্তী বৈঠকের পর আশা করা যায়, পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। পরের বৈঠক কবে, এখনও ঠিক হয়নি।’

এখনও পর্যন্ত অবধি দুই দেশের কমান্ডার পর্যায়ে তিনটি বৈঠক হয়েছে। গালওয়ান, হটস্প্রিং এবং গোগরা থেকে চীনা সেনা সরে গিয়েছে। ভারতীয় সেনা সূত্রে এ দিন জানা গিয়েছে, প্যাংগংয়ের মোট ৮টি ‘ফিঙ্গার’ এলাকা রয়েছে। এর মধ্যে ফিঙ্গার-৪-এ চীনা সেনার উপস্থিতি পাতলা হয়ে এসেছে ঠিকই। কিন্তু এই সেনা কর্তার কথায়, ‘একে পূর্ণ ডিসএনগেজমেন্ট বলে না। এখনও ফিঙ্গার এলাকায় চীন সেনারই আধিপত্য রয়েছে।’ একাধিক ঝর্নার ধার বরাবর চীনের তাঁবু বহাল। 

ভারত চায় চীন ফিঙ্গার ৮-এ তার ছাউনিতে ফিরে যাক। সিরিজাপ ১ ও ২-এ তাদের পাকা ঘাঁটিতে চলে যাক। কিন্তু চীনের পিপলস নিবারেশন আর্মি ফিঙ্গার-২ পর্যন্ত দখল চায়। ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত এলাকায় তারা পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে। ফিঙ্গার ২ ও ৩-এর মধ্যে ভারতের ছাউনি রয়েছে। ফিঙ্গার ৩ ও ৪-এর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক ঘাঁটি। ফিঙ্গার ৪ বরাবর

ভারতের নিয়ন্ত্রণে। এখন ভারতীয় সেনা ফিঙ্গার ৫-এর দিকে যেতে গেলে বাধা পাচ্ছে। ঐ সেনা কর্তার মতে  গালওয়ান উপত্যকায় পিপি ১৪, পিপি ১৫, পিপি ১৭ এবং পিপি ১৭এ পর্যন্ত ভারতীয় সেনার টহলদারি শুরু করার মতো অবস্থায় পৌঁছতে আরও কিছু সময় লাগবে। 

এমএস/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি