জাতিসংঘকে সংস্কারের আহ্বান মোদির
প্রকাশিত : ১৩:৫১, ১৮ জুলাই ২০২০
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতিসংঘকে সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে সংস্কার করে নতুন করে বহুপক্ষীয়তার আলোকে গড়ার প্রস্তাব দেন তিনি।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) সভায় এ বছরের উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে তিনি এ আহ্বান জানান। শনিবার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।
ওই অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার সময় পৃথিবীর প্রতি আমাদের দায়িত্ব ভোলা যাবে না।
১৭ জুন নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর উদ্দেশে এবারই প্রথম ভাষণ দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এ বছর ইকোসকের সভার মূল প্রতিপাদ্য– ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী বহুপাক্ষিকতা: ৭৫তম বার্ষিকীতে আমাদের কেমন জাতিসংঘ প্রয়োজন’।
জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীতে উচ্চ পর্যায়ের ইকোসক অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্যের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে ‘বহুপাক্ষিক সংস্কারের' পক্ষে পুনরায় ভারতের আহ্বানের কথা তুলে ধরেন যা, সমসাময়িক বিশ্বের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ ইকোসক এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’-ভারতের এ উন্নয়নমূলক নীতিটি কাউকে পেছনে না রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রারই প্রতিফলন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের তৃণমূলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে বিশ্বের অন্যতম সেরা সুস্থতার হার অর্জন করতে সহায়তা করছে।
মোদি উল্লেখ করেন, ভারতের এ বিশাল জনসংখ্যার আর্থ-সামাজিক সূচক উন্নয়নে সাফল্য বিশ্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদি ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযানের’ মাধ্যমে সাফাই কার্যকলাপে উন্নতি, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ এবং 'সবার আবাসন' ও 'আয়ুষ্মান ভারত' প্রকল্পের মতো জনকল্যাণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে আবাসন ও স্বাস্থ্য পরিষেবাসহ চলমান একাধিক উন্নয়নমূলক প্রয়াস তুলে ধরেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের বিষয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং আন্তর্জাতিক সৌর জোট ও দুর্যোগ প্রতিরোধ অবকাঠামো প্রতিষ্ঠায় ভারতের অগ্রণী ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
নিজের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলকেই অগ্রাধিকার দান প্রসঙ্গে ভারতের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন দেশকে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভারত সরকার এবং ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর সহায়তা প্রদান ও সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি যৌথ কৌশলগত প্রতিক্রিয়া সমন্বিত করার কথাও স্মরণ করেন।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইকোসকে ভাষণ দিলেন। এর আগে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ইকোসকের ৭০তম বার্ষিকীতে তিনি মূল ভাষণ দিয়েছিলেন।
এসএ/
আরও পড়ুন