ভারতে একদিনেই আক্রান্ত ৪৬ হাজার, মৃত্যু ১১শ’
প্রকাশিত : ১৩:২৬, ২৩ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৩:২৭, ২৩ জুলাই ২০২০
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে নমুনা পরীক্ষা যত বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা ততটাই দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে ভারি হচ্ছে লাশের মিছিল। গত একদিনেও দেশটিতে প্রায় ৪৬ হাজার মানুষের শরীরে ভাইরাসটি চিহ্নিত হয়েছে। যা একদিনে আক্রান্তের নিরিখে সর্বোচ্চ। প্রাণহানি ঘটেছে আরও ১১শ’ জনের। পাশাপাশি সুস্থতা লাভ করেছেন দুই তৃতীয়াংশ ভুক্তভোগী।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৭২০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)।
অন্যদিকে গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ১২৯ জনের। যা প্রাণহানির নিরিখে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে গতমাসে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার মানুষের মৃত্যু দেখেছিল ভারত। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৮৬১ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত দেড় কোটির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত।
এদিকে বুধবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। এতে করে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৭ হাজারে ৬০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৫৫৬ জনের। গত ১৩ জুলাই থেকে এ রাজ্যে ১০ দিনের কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে।
রাজধানী দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৭১৯জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।
তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯২ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৩ হাজার ১৪৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টাতেই সেখানে ৫১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আর গত একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও প্রাণহানি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। মমতার রাজ্যে বুধবার ২ হাজার ২৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে অর্ধলক্ষ ছুঁতে চলেছে। অপরদিকে, এদিন মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। ফলে, ভাইরাসটির থাবায় এখন পর্যন্ত সেখানে ১ হাজার ২২১ জনের প্রাণহানি ঘটল। যদিও, সুস্থতা লাভ করেছেন সাড়ে ২৯ হাজারের বেশি রোগী।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৫৫৭ জন ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৭ লাখ প্রায় ৮২ হাজার ৬০৬ জন ভুক্তভোগী। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ১৬৭ জন।
এআই/এমবি
আরও পড়ুন