কাশ্মীরে ফের বিজেপি নেতা খুন
প্রকাশিত : ২১:৪৬, ৬ আগস্ট ২০২০
ভারত অংশের কাশ্মীরের কুলগামে খুন হলেন বিজেপি নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য সাজাদ আহমেদ খান্ডে। এই নিয়ে এক মাসের মধ্যে কাশ্মীরে চারজন বিজেপি নেতাকে খুন করা হলো। খবর এনডিটিভি ও ডয়চে ভেলে’র।
দুই দিন আগেই খুন হয়েছেন কুলগামের এক বিজেপি নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য আরিফ আহমেদ। একই এলাকায় আবারও এক বিজেপি নেতাকে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত সাজাদ ছিলেন জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি। তাঁর বাড়ির কাছেই তাঁকে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। একটা নতুন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী রেসিসটেন্স ফ্রন্ট এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, জইশ, লস্কর এবং হিজবুল মুজাহিদিন কর্মীদের নিয়ে এই ফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে।
বিজেপি নেতাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দিনে যেদিন জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য নতুন লেফটানান্ট গভর্নর নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন নেতা মনোজ সিনহাকে নতুন লেফটানান্ট গভর্নর করা হয়েছে। ২০১৪ থেকে ১৯ পর্যন্ত মনোজ সিনহা মোদী মন্ত্রিসভায় ছিলেন। তাঁকে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীর দেখভাল করার বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলেন মোদী। এমনকী তাঁকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করার কথাও ভাবা হয়েছিল। পরে অবশ্য যোগী আদিত্যনাথ সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হন।
সিআরপিএফ সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, স্থানীয় এক মসজিদের কাছে সিআরপিএফের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময় হয়। এর মাঝেই গাড়ি থেকে নেমে পালাতে উদ্যোগী হন চালক। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
এক বছর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে দুইটি আলাদা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করা হয়েছে। কিন্তু এক বছরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সেখানে গোলমাল চলছে। প্রায়ই বিজেপি নেতাদের খুন করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীও আক্রান্ত হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের খোঁজে তল্লাশিও চলছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তেজক। এই পরিস্থিতিতে মনোজ সিনহাতেই আস্থা রাখলেন মোদী।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন