২৬ বছর পর দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন বিজ্ঞানী
প্রকাশিত : ১৬:৪৮, ১২ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৬:৫১, ১২ আগস্ট ২০২০
নাম্বি নারায়ণন
কেরিয়ারের মোক্ষম সময়ে নামের পাশে যুক্ত হয়েছিল ‘দেশদ্রোহী’। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জেলও খাটতে হয়েছিল তাকে। সেই বদনাম কাটিয়ে উঠতে দু’দশকেরও বেশি সময় লাগে তার। তবে দীর্ঘ সময় পাড় হলেও ‘সুবিচার’ পেয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) সাবেক বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণন। শুধু বদনামই কাটেনি, এর সঙ্গে মানহানীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে পেয়েছেন দেড় কোটি টাকাও।
গুপ্তচরবৃত্তির ভুয়া অভিযোগ এনে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে কেরালা সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তিনি। মানহানির জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই মামলায় মঙ্গলবার তাকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিল রাজ্য সরকার।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ থেকে রেহাই পান ৭৯ বছরের নাম্বি নারায়ণন। ভুয়া অভিযোগ এনে তাকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছিল বলে মেনে নেয় দেশটির শীর্ষ আদালতও। সেই সময়ই ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা পান নাম্বি নারায়ণন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশে আরও ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু সারাজীবন ধরে যে বদনাম বয়ে বেড়িয়েছেন নাম্বি নারায়ণ, তার জন্য এই টাকা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়, চাইলে নিম্ন আদালতে আরও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে পারেন তিনি।
সেই মতে, তিরুঅনন্তপুরমের দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হন নাম্বি নারায়ণন। তার সঙ্গে সমঝোতায় আসতে সাবেক মুখ্যসচিব কে জয়কুমারকে দায়িত্ব দেয় কেরালা সরকার। নাম্বি নারায়ণনের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে আদালতে নির্দিষ্ট অঙ্কের ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করেন তিনি। তারপরেই ক্ষতিপূরণ বাবদ দেড় কোটি টাকার চেক পৌঁছে যায় নাম্বি নারায়ণনের কাছে।
চেক হাতে পেয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি খুশি। তবে শুধুমাত্র টাকার জন্য লড়াই করিনি আমি। বরং অন্যায় এবং অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি।’’
১৯৯৪ সালের নভেম্বরে ইসরো গুপ্তচর কাণ্ডে কয়েকজন বিজ্ঞানীর সঙ্গে গ্রেফতার হন নাম্বি নারায়ণন। বলা হয়, পাকিস্তানকে গোপন তথ্য পাচার করেছেন তারা। এর জন্য দু’মাস জেলও খাটেন নাম্বি নারায়ণ। পরে কেরালা পুলিশের হাত থেকে মামলা সিবিআইয়ের কাছে গেলে মুক্তি পান তারা। সিবিআই জানিয়ে দেয়, তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায়নি।
পরবর্তী কালে নাম্বি নারায়ণন দাবি করেন, ইসরো গুপ্তচর কাণ্ড আসলে একটি আন্তর্জাতিক ছক। যা ভারতে রকেটে তরল জ্বালানি ব্যবহারের প্রযুক্তিকে ১৫ বছর পিছিয়ে দেয়।
সূত্র: আনন্দবাজার
এএইচ/এমবি
আরও পড়ুন