ট্রাম্পের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে টিকটকের মামলা
প্রকাশিত : ১৩:০০, ২৫ আগস্ট ২০২০
জাতীয় নিরাপত্তার জন্যে হুমকি বিবেচনা করে মার্কিন প্রশাসন টিকটকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সঙ্গে আমেরিকানদের সব ধরনের লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দেয়ার প্রেক্ষিতে এবার মামলা করেছে টিকটক।
মামলায় টিকটক যুক্তি দেখিয়েছে, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্টের অপব্যবহার। তারা আরো বলছে, এই আদেশের কারণে কোন ন্যায্য প্রমাণ ছাড়াই এর ব্যবহারকারীর অধিকার ছিনিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সংক্রান্ত এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। আদেশে ৪৫ দিনের মধ্যে আমেরিকানদের বাইটড্যান্সের সঙ্গে সব ধরণের লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।
এ প্রেক্ষিতে শনিবার টিকটকের এক বিবৃতিতে মামলার ঘোষণা দিয়ে বলা হয়েছিল, তারা গত প্রায় এক বছর ধরে সমস্যার সমাধানের জন্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাব রয়েছে এবং এটি এমন একটি প্রশাসন যা সত্যের দিকে মনোযোগ দেয় না।
তাই প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘আইনের শাসন যেন বিঘ্নিত না হয় এবং প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারীদের সাথে যেন ন্যায্য আচরণ করা হয় তা নিশ্চিত করতে বিচারিক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে দেয়া আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।’
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে টিকটকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে।
ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সংস্থাটি আমেরিকান ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনা সরকারের কাছে সরবরাহ করতে পারে। যদিও বাইটড্যান্স এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই ছোট ভিডিও তৈরির অ্যাপের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটি।
ট্রাম্প বলছেন, চীন অ্যাপটি দিয়ে ফেডারেল কর্মীদের অবস্থান ট্র্যাক করতে, ব্ল্যাকমেইলের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে বা সংস্থাগুলির উপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে সক্ষম।
নির্বাহী আদেশে তিনি দাবি করেন, সংগৃহীত এসব তথ্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে আমেরিকানদের ব্যক্তিগত এবং মালিকানা সম্পর্কিত তথ্যে প্রবেশের অনুমতি দেবে। তবে টিকটক বলেছে, তারা কখনই মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনা কর্তৃপক্ষেও হাতে দেয়নি। আর চীনা কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের এ নিষেধজ্ঞাকে রাজনৈতিক বলে এর তীব্র সমালোচনা করেছে।
এদিকে কেবল যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ভারতও টিকটকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে এবং অষ্ট্রেলিয়াও ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ব্যবহারকারীরা নাচ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক রাজনীতিসহ নানা বিষয় নিয়ে ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ টিকটক অ্যাপে পোস্ট করেন। সম্প্রতি বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মাঝে এর জনপ্রিয়াতা প্রবলভাবে বেড়েছে।
এসএ/
আরও পড়ুন