মানবাধিকার ভেঙেছে ইরান, দাবি অ্যামনেস্টি’র
প্রকাশিত : ১৭:৪৩, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৮:৫৩, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
২০১৯ সালে ইরানে বিক্ষোভের ছবি- সংগৃহীত
ইরানে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এমনটি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। গেল বছরের নভেম্বরে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয় ইরানে। সরকার বিরোধী সেই বিক্ষোভ কড়া হাতে দমন করে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। সেই ঘটনা নিয়ে আজ বুধবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। খবর ডয়চে ভেলে’র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ভয়ঙ্কর অত্যাচার করে বেআইনি স্বীকারোক্তি নিয়েছে।
বিক্ষোভের পরই কয়েক শত আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পুরো দেশে কার্যত ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট করে দেয়া হয়। সেই পুলিশি বাড়াবাড়ির কথা উঠে এসেছে রিপোর্টে। অ্যামনেস্টি বলেছে, তারা প্রচুর বিক্ষোভকারীর সঙ্গে কথা বলেছে। দশ বছরের বাচ্চাকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের রিপোর্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে।
যাদের সঙ্গে অ্যামনেস্টি কথা বলেছে, তারা জানিয়েছেন, যাকে খুশি নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেফতার করেছে। তাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। খুব খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। অনেককে এরপর আর দেখতে পাওয়া যায়নি। বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করার জন্য ভয়ঙ্কর অত্যাচার চালানো হয়েছে। অ্যামনেস্টি ৫০০ জনের তালিকা তৈরি করেছে, যাদের পুলিশি অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের অন্যায্য বিচার হয়েছে। অনেককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের জেল হয়েছে। পক্ষপাতপূর্ণ বিচারকদের দিয়ে বিচার করানো হয়েছে। এক মাস থেকে দশ বছর পর্যন্ত জেল হয়েছে।
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, বিভিন্নভাবে বিক্ষোভকারীদের নির্য়াতন করা হয়েছে। তাদের মারা হয়েছে, ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়েছে, জলে চুবিয়ে রাখা হয়েছে, যৌনাঙ্গে গোলমরিচের গুড়ো স্প্রে করা হয়েছে, যৌন নির্যাতন করা হয়েছে এবং হাত ও পায়ের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে।
এই বছর মে মাসে ইরানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বিক্ষোভের সময় ২২৫ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছিলেন। তখন পেট্রোল পাম্প জ্বালিয়ে দেয়া হয়। থানা আক্রমণ করা হয় এবং দোকান লুট করা হয়।
২০১৯ সালে জাতিসংঘের অধিকাররক্ষা কর্মীরা জানিয়েছিলেন, অসমর্থিত খবর হল- কয়েক শত বিক্ষোভকারী মারা গেছেন। সংখ্যাটা তিন শত’র কম হবে না। আর ইরানের অভিযোগ ছিল, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মদদে দেশটির অভ্যন্তরে বিক্ষোভ হয়েছে।
এমএস/
আরও পড়ুন